আফগানরা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে : মুশফিক
লক্ষ্যমাত্রাটা খুব বেশি বড় ছিল না। সেই ১৪৬ রানের মামুলি টার্গেটেই বাংলাদেশ দলের আরো মামুলি ব্যাটিং। মাহমুদউল্লাহকে সাথে নিয়ে মুশফিকুর রহিম করেছিলেন চেষ্টা। তবে আসেনি জয়। শেষ টি-টোয়েন্টিও জিতে নিয়ে আফগানিস্তান হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশকে। মুশফিক কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না প্রতিপক্ষকে, বলেছেন যোগ্য দল হিসেবে জয়ের উল্লাস করেছে আফগানরা।
দেরাদুনে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জয় পেতে শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩০ রানের। করিম জান্নাতের করা ১৯তম ওভারে টানা পাঁচ বলে ৫ চার হাঁকিয়ে মুশফিক সব মিলিয়ে তুলছিলেন ২১ রান। শেষ ওভারে রশিদ খানের প্রথম বলেই ফিরেছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আফগান লেগস্পিনার শেষ পর্যন্ত তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে দলকে জিতিয়েছেন ১ রানে।
৩৭ বলে ৪৬ রান করে মুশফিক পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। দল যেখানে হয়েছে চুনকাম, সেখানে কি আর ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারে মন ভরে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের! চোখেমুখে একরাশ অন্ধকার নিয়ে তবেই রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মুশফিক।
ম্যাচটা জিততে পারেননি হয়তো তবে আফগানদের প্রাপ্য সম্মান দিতে এতটুকুও কমতি রাখেননি মুশফিক। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বলেছেন, ‘আফগানিস্তানকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা চমৎকার খেলেছে। যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে তারা। রশিদ-মুজিব-নবীর মতো তিনজন স্পিনার দলে থাকলে যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই ম্যাচ জেতা কঠিন। ওরা সেটা দারুণভাবে করে দেখিয়েছে।’
ভারতের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরুতেই মুশফিকরা বছর দুয়েক আগে হেরেছিলেন এই এক রানেই। সেই ভুল থেকে শিখে শ্রীলঙ্কার মাঠে দলকে জেতালেও আবারও ভারতের মাঠে এসে আফগানদের কাছে নাজেহাল বাংলাদেশ দল।
হতাশা আছে মুশফিকের, তবে পরেরবার আর এমন ভুল হবে না বলে আশ্বাস দিলেন তিনি, ‘এক রানে হারাটা অবশ্যই হতাশাজনক। সিরিজ তো আগেই হেরেছি তবুও শেষ ম্যাচটা জিতলে স্বস্তি পেতাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হেরে গেছি। পরেরবার যদি আমার সামনে এমন সুযোগ আসে, আশা করছি কাজে লাগাতে পারব।’