বাংলাদেশ কি পারবে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে?
আফগানিস্তানের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সামনে লজ্জাজনক হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ভয়। ইতিহাস অবশ্য আগেই গড়েছে মোহাম্মদ নবির দল। ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে তারা। এর আগে প্রথম ম্যাচও আফগানরা জিতে নেয় ৪৫ রানে। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে জিম্বাবুয়ের বাইরে অন্য কোনো দলের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে আফগানরা। আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। সাকিবরা কি আজ হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জার হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবেন? নাকি প্রথম দুই ম্যাচের মতো আফগানদের জয় উপহার দিয়ে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার গ্লানি নিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হবে? আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় দেরাদুনে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
দেরাদুনে আফগানিস্তানের আগে সিরিজ শুরুর আগে কে ভেবেছিল, এই নবীন দলটার কাছেই তুলনামূলক অভিজ্ঞ বাংলাদেশকে নাকানি-চুবানি খেতে হবে? এই সিরিজে ফেভারিট ছিল টাইগাররাই। সদ্যই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শেষ করে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান যোগ দিয়েছেন দলে। লিগে তাঁর সাফল্যের পাল্লাটাই ভারী। অন্যদিকে, তামিম ইকবাল খান অভিজ্ঞতায় আফগানদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খারাপ সময়ে দলকে খাদ থেকে টেনে তোলার মতো যথেষ্টই যোগ্য। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের রানের চাকা সচল। ব্যাট হাতে তিনি বেশ ধারাবাহিক। কিন্তু রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, মুজিব উর রহমানের কাছে প্রায় সবাই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন। উইকেট বিলিয়ে পরাজয় ত্বরান্বিত করেছেন।
তিন ম্যাচ সিরিজের দুই ম্যাচ হেরে স্বাভাবিকভাবেই দারুণ আত্মপ্রত্যয়ী আসগর স্টানিকজাইয়ের দল। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চেয়ে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে আছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার মাধ্যমে সিরিজ জিতলে তাদের র্যাংকিংয়ের উন্নতিতে দারুণ প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে, সাকিবরা যদি তাদের সামর্থ্যের প্রতি মনোযোগী হয়, তবে ম্যাচ নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো অসম্ভব কিছু না। বাংলাদেশ কি পারবে?