একটা সময় ক্রিকেট মাঠে আম্পায়ার রাখা হতো দুজনকে। এরপর টিভি আম্পায়ারসহ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিনজনে। এখন তো একজন অতিরিক্ত আম্পায়ারসহ মাঠে থাকে মোট চারজন। তবে অবাক হওয়ার যে ব্যাপারটা সেটা হলো, আজ থেকে প্রায় ১১০ বছর আগে এক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচে ব্যবহৃত হয়েছিলেন মোট আট জন আম্পায়ার!

১৯০৮-০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার দুই রাজ্যদল তাসমানিয়া ও ভিক্টোরিয়ার মধ্যে ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন আট আম্পায়ার। তাসমানিয়া দল অবশ্য তখনো অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট শেফিল্ড শিল্ডে খেলত না। তবে পাশাপাশি অবস্থান হওয়ায় একটা দ্বৈরথ তো ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে ছিলই। তাই তাদের বিপক্ষে প্রায়ই মাঠে নামত তাসমানিয়া।

তাসমানিয়া রাজ্যের লানচেন্টন শহরের মাঠে ইনিংস আর ২৮৭ রানে ভিক্টোরিয়ার জিতে যাওয়া ম্যাচে প্রথম দিনে মাঠে ছিলেন তিন আম্পায়ার। দ্বিতীয় দিনে ছিলেন আরো দুজন। বাকি দুদিনে নতুন আরো তিন আম্পায়ার থাকার কথা জানিয়েছে সেদিনের লানচেন্টন শহরের মূল দৈনিক ‘লানচেন্টন টেলিগ্রাফ’।

তবে মোট আট আম্পায়ার মাঠে নামার নির্দিষ্ট কোনো কারণ অবশ্য জানা যায়নি। ধারণা করা যায়, তাসমানিয়ার মাঠে যেহেতু গড়াচ্ছে ম্যাচটা আর ভিক্টোয়ারিয়ার সঙ্গে একটা দ্বৈরথও আছে তাদের। তাই নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ আম্পায়ারিংয়ের উদ্দেশ্যেই প্রতিদিন নতুন আম্পায়ার নিয়ে মাঠে নেমেছিল দল দুটি।

প্রথম শ্রেণির ম্যাচ হলেও ওই সময়টায় ছিল না কোনো বাঁধাধরা সময়। যত দিন ফলাফল না আসবে, চলতে থাকবে খেলা। ভিক্টোরিয়ার দাপুটে জয়ে অবশ্য সে ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল মাত্র তিনদিনেই। ভিক্টোরিয়া দলের লেগ-স্পিনার জিমি ম্যাথুস তাসমানিয়ানদের দুই ইনিংসে বিপাকে ফেলেছিলেন ঘূর্ণি জাদু দিয়ে। প্রথম ইনিংসের হ্যাটট্রিক আর সাত উইকেটসহ ম্যাথুস ম্যাচে নিয়েছিলেন মোট ১২ উইকেট।