শেষ মুহূর্তের গোলে বাংলাদেশের হার
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষেও খেলায় ১-১ গোলে সমতা। কিন্তু ইনজুরি সময়ে গোল খেয়ে হার মানতে হলো বাংলাদেশকে। সোমবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক নেপালের কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়ায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা পূরণ হয়নি বাংলাদেশের তরুণদের।
হেরে গেলেও ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছিল তারা। দুই ম্যাচেই জয় পাওয়ায় নেপাল হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
২৭ আগস্ট সেমিফাইনালে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ফাইনাল ২৯ আগস্ট।
নেপালের ললিতপুরের আনফা একাডেমি মাঠে ১১ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ভুলের সুযোগে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে আড়াআড়ি শটে জালে পাঠান ফরোয়ার্ড রোহিত সরকার।
পাঁচ মিনিট পর বাংলাদেশকে নিশ্চিত বিপদ থেকে রক্ষা করেন ডিফেন্ডার মুস্তফা। আকাশ থাপার কর্নার থেকে ফরোয়ার্ড বিমল মাঘারের চমৎকার হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন তিনি।
তবু এগিয়ে থাকার আনন্দ বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে অঞ্জন বিস্তার গোলে সমতা নিয়ে আসে নেপাল।
বিরতির ঠিক আগে বাংলাদেশকে হতাশ করেন নেপালের গোলরক্ষক সুজিত গুরুং। মিডফিল্ডার মান্নাফ রাব্বির চমৎকার শট দক্ষতার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশের তরুণ ফুটবলাররা। ৫১ মিনিটে ভালো একটি সুযোগও পায় তারা। কিন্তু রোহিতের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দারুণ শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে গেলে হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে।
সাত মিনিট পর আবার হতাশা। মিডফিল্ডার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের চমৎকার ফ্রিকিক স্বাগতিক দলের এক ডিফেন্ডার হেড করে বিপদমুক্ত করেন।
৭৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের দারুণ একটি আক্রমণ নষ্ট করে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান। বিমল মাঘারের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন তিনি।
তবে ইনজুরি সময়ে জাল অক্ষত রাখতে পারেনি বাংলাদেশ, আত্মঘাতী গোল সর্বনাশ করে তাদের। নেপালের বদলি স্ট্রাইকার অনন্ত তামাংয়ের ফ্রিকিক বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডার হেড করে বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাশেই থাকা মিডফিল্ডার টুটুল হোসেন বাদশার পায়ে লেগে বল চলে যায় জালে। তাই নেপালও পেয়ে যায় অপ্রত্যাশিত জয়।