এই পরাজয় ভোলার নয় : মুশফিক
সেই ২০০৯ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল থেকে নিদাহাস ট্রফির গতকালের কান্না। মুশফিকুর রহিম সেদিনও ছিলেন, থাকলেন কালকের ফাইনালেও। হেরে যাওয়া পাঁচ ফাইনালের পাঁচটিতেই বাংলাদেশ উইকেটরক্ষকের হৃদয়ে হয়েছে রক্তক্ষরণ। বুকের যন্ত্রণাটা বুকে চেপে রেখেই মুশফিক চোখটা রাখলেন শুধু এগিয়ে যাওয়ার দিকেই।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১২ রানের। পার্ট টাইম বোলার হিসেবে পরিচিত সৌম্য সরকারেই ভরসা রেখেছিল দল। সেই আস্থার প্রতিদানটা সৌম্য দিয়েছিলেনও প্রথম পাঁচ বলে মাত্র সাত রান দিয়ে। শেষ বলে দরকার পাঁচ, ক্রিকেটেই যে এমন ঘটনা বিরল! সেই বিরল ঘটনার পুনরাবৃত্তিটাই করলেন দিনেশ কার্তিক। সৌম্যর করা শেষ বলে হাঁকালেন দারুণ ছয়। বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ করে ভারতকে দিয়ে দিলেন ট্রফিটা।
সৌম্যের ওভারটায় ম্যাচ হেরে গেলেও মুশফিক বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে দোষটা দিতে মোটেও রাজি নন। বরং হারের দায়টা মাথা পেতে নিলেন নিজেসহ পুরো দল। সাবেক টেস্ট অধিনায়কের ভাষ্যে, ‘এমনটা অবশ্যই খারাপ লাগার। তবে একজনের ওপর দোষ দিতে আমি রাজি নই। এটা একটা দলীয় খেলা। আমাদের এখান থেকে শিখতে হবে। সৌম্যর জন্য এমন পরিস্থিতি এটাই প্রথম ছিল। এরপর যখন একই পরিস্থিতির সামনে আবার যদি সে দাঁড়ায়। আমি নিশ্চিত সৌম্য সেদিন ভালো কিছুই এনে দেবে।’
স্নায়ুচাপের যুদ্ধে এর আগেও হেরে গেছেন অনেক নামি-দামি বোলার। মুশফিকও তুলে আনলেন সে কথাই। বললেন এই পরাজয় অনেকদিন পোড়াবে বাংলাদেশ দলকে, ‘অনেক বোলারই হেরে গিয়েছে স্নায়ুচাপের কাছে। এই মাঠেই তো ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লাসিথ মালিঙ্গাকে কাঁদিয়েছিলেন মারলন স্যামুয়েলস। আমরা বেশ ভালো একটা সুযোগ হারিয়েছি। আপনি প্রতিদিন ভারতের মতো দলকে পরাজিত করার সুযোগ পাবেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আমরা তাদের বিপক্ষে জেতার সুযোগ হারালাম। এই পরাজয় ভোলার মতো নয়। তারপরও এই জায়গা থেকে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’