‘সবকিছুই পজিটিভ, তবে জেতা হলো না’
গতকাল নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে তীরে এসে তরী ডুবিয়েছে টাইগাররা। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের শেষ বলে ভারতের কাছে হেরে যান সাকিবরা। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এই ম্যাচে নেগেটিভ কিছু দেখছেন না। তিনি মনে করেন, সবকিছুই পজিটিভ ছিল, শুধু জেতা হলো না।
ম্যাচের পরাজয়ে রুবেল হোসেনের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে গেলেও সাকিব বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, রুবেল কিন্তু খুব মিস করেনি। যে জায়গাটায় বল করার কথা ছিল, অল্পের জন্য মিস করেছে। এ রকম হতেই পারে। কার্তিক অসাধারণ ব্যাট করেছে। ওই ওভারে প্রথম দুই বলে ১০ রান দেওয়ার পর হয়তো রুবেল একটু নার্ভাস হয়ে পড়েছিল। এটা যে কারো হতে পারে। তার পরও শেষের ওভারে সে আমাদের সেরাদের একজন।
আমি ভাবছিলাম যে রুবেল বাজে বল করলেও হয়তো ১৫ রান দেবে। শেষ ওভারে সৌম্যর জন্য ২০ রান থাকবে, হয়তো বেশ আত্মবিশ্বাসী থাকবে। এ জন্যই রুবেলকে ১৯তম ওভারে এনেছিলাম। আজ হয়নি। পরেরবার এ রকম পরিস্থিতি হলে আমি রুবেলের হাতেই বল দেবো।’
অনিয়মিত বোলার হয়েও দলের প্রয়োজনে সৌম্য যেভাবে বোলিং করেছেন, তাতে মুগ্ধ অধিনায়ক। জানালেন, শেষ বলের আগে খুব বেশি নির্দেশনা দিয়ে চিন্তিত করতে চাননি সৌম্যকে, ‘আমার দিক থেকে কোনো নির্দেশনা ছিল না। এসব মুহূর্তে আমি মনে করি, কিছু না বলাই ভালো। আমি শুধু ওকে বলেছিলাম, একটু সময় নিতে। কারণ তাড়াহুড়ো করলে যেটা করার কথা, সেটা করা হয়ে ওঠে না। সময় নিতে বলেছিলাম। আজকে দিনে ওর যে ৩ ওভার, অনেক দিনে অনেকের চার ওভারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সৌম্য ও মুস্তাফিজের শেষ সময়ের স্পেলই আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছে। রুবেল প্রথম ৩ ওভারে খুব ভালো বল করেছে। সবাই ভালো করেছে। কাউকে দোষ আমি দিতে পারব না। হয়তো দুটি ওভার খারাপ হয়েছে পুরো ম্যাচে, মিরাজের একটি আর রুবেলের ওই ওভার। এটা হতেই পারে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। আমি শুধু বলতে পারি, আমি পুরো দলের বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে গর্বিত।’ হাসিমুখেই সাকিব বললেন, ‘এখন কী করব? কেঁদে লাভ আছে? আবেগ থাকে, থাকতে পারে। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতিতে আসলে কিছু আর করার নেই। হয়তো শিখতে পারি। পরেরবার আবার সুযোগ পেলে হয়তো চেষ্টা করতে পারি। আমরা বেশ কয়েকটি ফাইনাল হারলাম এ রকম। বেশিরভাগই ক্লোজ ছিল। সবচেয়ে ক্লোজ হয়েতা এশিয়া কাপেরটা (২০১২ সাল) ছিল, এটা হয়তো আরো ক্লোজ হলো। এভাবেই তো এগোচ্ছি!’
সাকিব জানালেন, ভাগ্যও ছিল না টাইগারদের পক্ষে, ‘এটা কি স্নায়ুর চাপ নাকি ভাগ্য, সেটা বলা মুশকিল। ধরেন, এক ওভারে ৯ রান দরকার ছিল, খুব বেশি কিন্তু নয়। হয়নি। আবার আজকে শেষ বলে ৫ রান, বেশিরভাগ সময়ই করা যায় না। ১০ বারের মধ্যে হয়তো ছয়-সাতবারই বোলার পারবে। শেষ ২ ওভারে ৩৫ রান থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই বোলিং দলের জেতার কথা। স্রেফ হয়নি আজ। এটাকে আমি স্নায়ুর চাপ বলব না। ওদের ব্যাটসম্যান বেশি ভালো খেলেছে। ভাগ্যও ছিল না পক্ষে।’