ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের জয়ের দিনে হেরেছে আবাহনী লিমিটেড। দিনের আরেক ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স জয় তুলে নিয়েছে।

আজ শনিবার বিকেএসপিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়েছে মোহামেডান। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল সাদা-কালোর শিবির। শুরুতেই ইরফান শুক্কুর ফিরে গিয়েছিলেন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে। দুই ভাই জনি তালুকদার ও রনি তালুকদার দলের ইনিংস মেরামতের কাজটা করেছেন দায়িত্ব নিয়েই। ১১০ রানের জুটি গড়ে জনি ফিরেছেন ৩২ রানে। বড় ভাই রনি ৭৩ বলে সংগ্রহ করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৭ রান।

অধিনায়ক শামসুর রহমানের ৬০ আর রকিবুল হাসানের ৫৫ রানও গড়ে মোহামেডানের বড় স্কোরের ভিত। শেষদিকে সাঈদ সরকারের ২৫ বলে ঝড়ো ৫৮ রানের সুবাদে মোহামেডান পুঁজি দাঁড় করিয়েছিল ৩০৬ রানের।

জবাবে দ্রুত পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল শাইনপুকুর। শুভাগত হোম আর অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন মিলে ৭৪ রানের জুটিতে নবাগত দলটিকে ফিরিয়েছিলেন লড়াইয়ে। শুভাগত ৫২ রান করে সাজঘরের পথ ধরছিলেন। অষ্টম উইকেটে সাইফউদ্দিন ফের ৮৬ রানের জুটি গড়েন রায়হান উদ্দিনের সঙ্গে। অবশ্য লাভ হয়নি তাতে। ১১ বল আগেই শাইনপুকুর গুটিয়ে যায় ২৬৮ রানে। দলীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৮ রান এসেছে সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে। মোহাম্মদ আজিম তুলে নেন চার উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার গিয়েছে সাঈদ সরকারের হাতে।

শেরেবাংলায় দিনের আরেক ম্যাচে আবাহনী ৩ রানে হেরেছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। মূলত শেষ ওভারেই হেরে গেছে আবাহনী। প্রথমে ব্যাট করা দোলেশ্বর দ্রুত উইকেট হারালেও ফজলে মাহমুদ ও ফরহাদ হোসাইনের জোড়া অর্ধশতকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ফরহাদ করেছেন ৬৩ রান, অন্যদিকে মাহমুদের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬৮ রান। দলনায়ক ফরহাদ রেজা অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ২৮ রান করে। ৫০ ওভার শেষে দোলেশ্বরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩২ রান। মানান শর্মার চার উইকেটের দিনে মাশরাফি বিন মুর্তজা ঝুলিতে পোরেন দুই উইকেট।

ব্যাটিংয়ে নেমে আবাহনীর শুরুটাও ছিল দোলেশ্বরের মতোই। অধিনায়ক নাসির হোসেনের ৫৩ রান করে সামাল দিয়েছিলেন সেই চাপ। বাকি ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে অবশ্য বৃথা গিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের ৬০ রানের ইনিংস। ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে আবাহনী অলআউট হয়েছে ২২৯ রানে। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রেজা ও আরাফাত সানি। ব্যাট বলে দারুণ নৈপুণ্যে দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ রেজা জিতে নেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

ফতুল্লায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হেসে খেলেই হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ম্যাচে দারুণ এক শতকের দেখা পেয়েছেন গাজী গ্রুপ অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম। জহুরুলের ১১৩ বলে ১০৩ রানের ইনিংসে সাত উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আট চার ও তিন ছক্কায় শতক গড়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে জহুরুল ফিরেছিলেন সাজঘরে। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা গিয়েছে এই উইকেটরক্ষকের হাতেই। গাজী গ্রুপের আসিফ আহমেদ অবশ্য ৯ রানের জন্য শতকের দেখা পাননি। অপরাজিত রয়ে গিয়েছিলেন ৯১ রানে।

আগে ব্যাট করে ইউসুফ পাঠানের অপরাজিত ৭২ রানে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ ছিল ২৫৭ রান। ৬০ বলে সমান চার ছক্কা ও চারটি চারে ভারতীয় অলরাউন্ডার সাজিয়েছিলেন নিজের ইনিংসটি। এছাড়া জাকির হাসানের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৪ রান। গাজী গ্রুপের হয়ে নাঈম হাসান তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট।