‘আন্ডারডগ’ হয়েই শ্রীলঙ্কা যাচ্ছে বাংলাদেশ
মাঠে নামা শেষ চার টি-টোয়েন্টি ম্যাচের চারটিতেই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। নিদাহাস ট্রফির মঞ্চে যাওয়ার আগে তাই একটু নড়বড়েই বলা চলে টিম বাংলাদেশকে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ কোর্টনি ওয়ালশও মেনে নিচ্ছেন তেমনটা। ক্যারিবীয় এই কিংবদন্তি বলছেন ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ মাঠে নামবে ‘আন্ডারডগ’ হিসেবেই।
নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান থাকছেন না শ্রীলঙ্কাতেও। লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে তিন ফরম্যাটের তিন সিরিজেই। তাই শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ দলকে সামলানোর দায়িত্ব পাওয়া ওয়ালশ চোখটা রাখলেন বাস্তবতাতেই। আজ মিরপুরে এই ক্যারিবীয় পেসার কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সাথে।
অবশ্য ফেভারিটের তালিকায় না রাখলেও সিরিজে নিজেদের সুযোগ দেখছেন ওয়ালশ। শিষ্যদের ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলার তাগিদ দিয়ে কোচ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের ভালো সুযোগ থাকবে। অবশ্য সেখানে আমরা আন্ডারডগ হিসেবেই যাচ্ছি। দুটি শক্তিশালী দলের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে আমাদের। যদি ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলতে পারি তবে ফাইনালে ওঠার ভালো সুযোগ থাকবে আমাদের। ফাইনালে নামতে পারলে তখন ব্যাপারটা হয়ে যাবে এক ম্যাচের। নিজেদের মেলে ধরে ভালো আর ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’
টি-টোয়েন্টিতে এমনিতেই একটু পিছিয়ে বাংলাদেশ দল। ঘর কিংবা বিদেশের মাটি সব জায়গাতেই বিশ ওভারে ক্রিকেটে নামলেই যেন জুজু ভর করে সাকিবদের ওপর। তবে এক সিরিজের জন্য কোচের দায়িত্ব পাওয়া ওয়ালশ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বিদেশের মাঠেও টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য আছে বাংলাদেশের।
গত বছর এই লঙ্কার মাঠেই দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছিল বাংলাদেশ দল। মাশরাফি বিন মর্তুজার বিদায়ী সেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচকেই নিদাহাস ট্রফির লড়াইয়ের আগে প্রেরণা হিসেবে নিচ্ছেন ওয়ালশ। সাবেক ক্যারিবীয় পেসব্যাটারির ভাষ্যে, ‘এই সংস্করণে আমাদের তেমন সাফল্য নেই। তবে গত শ্রীলঙ্কা সফরে আমরা একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় পেয়েছিলাম। স্পষ্ট মনে আছে আমার, সেটা ছিল মাশরাফির বিদায়ী টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। নিজেদের পুনরুজ্জীবিত করতে চেষ্টা থাকবে আমাদের। শেষবার যেমনটা খেলেছিলাম, এবারও আমাদের চেষ্টা থাকবে সেই রকম ভালো ক্রিকেট খেলার। হ্যাঁ, শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এ রকম খেলাটা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমার মতে, এই সিরিজের তিনটি দলই শক্তিশালী। নির্দিষ্ট দিনে যে দল ভালো খেলবে, যত বেশি পরিকল্পনামাফিক ক্রিকেট খেলতে পারবে, তারাই সফল হবে।’
কোচের কথা থেকে আপাতত এটুকু পরিষ্কার যে নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের চাওয়াটা শুধুই ভালো ক্রিকেট খেলা। সাম্প্রতিক ফর্মটা পক্ষে নেই, সাথে দলে অনুপস্থিত সেরা ক্রিকেটারটাও। অবশ্য দেয়ালে পিঠ ঠেকলেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ- এমন একটা প্রবাদ তো রটিয়ে গেছেই বহু আগে। গত বছর নিউজিল্যান্ড আর ভারত সফরের বাজে সময়টা কাটিয়ে বাংলাদেশ পথ পেয়েছিল এই শ্রীলঙ্কাতেই। নতুন বছরে ফিরে আসার সেই মঞ্চায়নটা আরেকবার হোক চান্দিমালদের দেশেই।