স্বরূপে স্টোকস, সিরিজে ফিরল ইংল্যান্ড
বেশ কিছুদিনের বিরতির পর জাতীয় দলে ফেরার ম্যাচটা বেন স্টোকস করে রাখতে পারেননি স্মরণীয়। তবে পরের ম্যাচটাতেই ইংলিশ অলরাউন্ডার ফিরে আসলেন স্বরূপে। স্টোকসের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডও ফিরেছে জয়ের ধারায়। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে সফরকারীরা।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথমে ব্যাট করা স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান। পাল্টা উত্তরে স্টোকসের অপরাজিত অর্ধশতকে ৪ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
বে ওভালে আজকে টস জিতে ইংল্যান্ড বেছে নিয়েছিল ফিল্ডিং। ১০০ রানের কিউইদের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে দিনটাকে নিজেদের করে নেওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রাখে অতিথিরা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল অর্ধশতক হাঁকিয়ে বিদায় নিয়েছেন কাটায় কাটায় ৫০ রানেই।
মিডলঅর্ডার আর টপঅর্ডারের ব্যর্থতার দিন নিউজিল্যান্ডকে দুইশর ঘর পার করান লেজের ব্যাটসম্যানরা। অপরাজিত ইনিংসে প্রথম ম্যাচে জয় এনে দেওয়া মিচেল স্যান্টনার এদিনও ব্যাট হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। একপ্রান্ত আগলে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দলের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে ছিলেন অপরাজিত। দুই বল আগেই অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ডের হয়ে জোড়া উইকেট নেন বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস আর মইন আলি।
জবাব দিতে নেমে অবশ্য ইংলিশদের শুরুটাও খুব একটা ভালো হয়নি। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা জেসন রয় আর জো রুট ফিরেছিলেন দ্রুতই। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোও ফেরেন দলের একশ পূরণের আগেই।
দলপতি ইয়ন মরগান অবশ্য সে চাপটা সামলে নিয়েছিলেন অলরাউন্ডার স্টোকসকে সঙ্গে নিয়ে। ফিরে আসার সিরিজের প্রথম ম্যাচটায় স্টোকস করতে পারেননি তেমন কিছুই। কিন্তু এ ম্যাচে মরগানের সঙ্গে গড়েছেন ৯২ রানের জুটি। দলনায়ক ৬২ রান করে ফিরলেও স্টোকস মাঠে ছেড়েছেন দলকে জিতিয়েই। জশ বাটলার আর স্টোকসের পঞ্চম উইকেটের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে আসে ৫১ রান।
বল হাতে দুই উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে স্টোকসের অবদান অপরাজিত ৬৩ রান। ৭৪ বলে ৪ চার আর এক ছয়ে নিজের ইনিংসটা সাজিয়েছেন এই বাঁহাতি। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা তাই স্টোকসের হাতে তুলে দিতে দুবার ভাবতে হয়নি নির্বাচকদের।
দ্বিতীয় ম্যাচ ইংল্যান্ড জিতে নেওয়ায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজে বিরাজ করছে ১-১ ব্যবধানে সমতা। ওয়েলিংটনে শনিবার তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুদল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড : ৪৯.৪ ওভারে ২২৩/১০ (স্যান্টনার ৬৩*, গাপটিল ৫০, গ্র্যান্ডহোমে ৩৮; মইন ৩৩/২, স্টোকস ৪২/২, ওকস ৪২/২)।
ইংল্যান্ড : ৩৭.৫ ওভারে ২২৫/৪ (স্টোকস ৬৩*, মরগান ৬২, বেয়ারস্টো ৩৭, বাটলার ৩৬*; বোল্ট ৪৬/২)।
ফল : ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)।