প্রস্তুতি ম্যাচে অপ্রস্তুত ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ক্রিকেটারদের অন্যতম অপ্রিয় কাজ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়া কিংবা তাদের বিপক্ষে সিরিজ খেলা। অন্য দেশের খেলোয়াড়দের দোষ কোথায়? কে-ই বা তাদের বোলারদের আগুনের গোলার মুখে পড়তে চায়? শুধু কি ভয়ংকর কেবল বোলাররা? ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। একেকজন যেন একেকটি রানমেশিন।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই সোনালি সময় আর নেই। ধীরে ধীরে তলানিতে এসে ঠেকেছে দলটি। অবস্থা এমন এসে দাঁড়িয়েছে, ছোট ছোট দলের কাছেও হারতে হচ্ছে ক্লাইভ লয়েড-ভিভ রিচার্ডসদের উত্তরসূরিদের।
২০১৯ সালের পরবর্তী বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও ধুঁকতে হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। বাছাইয়ের মূল লড়াইয়ের আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে হুঙ্কার দিয়েছে ক্রিকেটের উদীয়মান শক্তি আফগানিস্তান। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতিপর্বে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ২৯ রানে হারিয়ে দিয়েছে আফগানরা। অবশ্য বৃষ্টির কারণে আফগানরা জিতে গেছে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের শুরুটা ভালো হয়নি। ২৩ ওভারে মাত্র ৭১ রানে তারা হারিয়ে বসে ৮ উইকেট। ইনিংসের শেষ দিকে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও গুলবাদিন নায়েব। শেনওয়ারি ৪২ রান ও নায়েব ৪৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। এই জুটির অবদানে ১৬৩ রানের পুঁজি গড়ে আফগানিস্তান।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ৩৫ ওভারে। এই সমীকরণে ক্যারিবীয়দের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪০ রান। এ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৬.৪ ওভারে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। বিশ্বের প্রায় সব ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ মাতালেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ক্রিস গেইল ছিলেন ব্যর্থ। তিনি আউট হয়েছেন মাত্র ৯ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে তিনটি উইকেট নেন শেলডন কট্রেল। আফগানিস্তানের পক্ষে ২৬ রানে চার উইকেট পান দাওলাত জাদরান।