‘শান্তিতে ঘুমানোর জন্য বিশ্বকাপ দরকার মেসির’
গত তিন বছরে টানা তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে প্রতিবারই আর্জেন্টিনাকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ মুহূর্তে জার্মানির বিপক্ষে গোল খেয়ে শিরোপা হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা। পরের দুই বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হারে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই বাছাইপর্বের বাধা পার করেছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসির হ্যাটট্রিক না হলে রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইনদের দর্শক হয়েই কাটিয়ে দিতে হতো। ১৯৭০ সালের পর এতটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারা বিশ্বকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করে।
মেসির চারটি ইউরোপিয়ান কাপ, আটটি লিগ টাইটেল, তিনটি ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ, পাঁচটি ব্যালন ডি’অর একটি বিশ্বকাপের কাছে তুচ্ছ, নগণ্য।
এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপ মেসির জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। এটাই হয়তো মেসির শেষ সুযোগ বিশ্বকাপ জিতে সর্বকালের সেরাদের কাতারে জায়গা করে নেওয়ার। অবশ্য আর্জেন্টাইন টেনিস তারকা হুয়ান মার্টিন দেল পেত্রো মনে করেন, রাতে শান্তিতে ঘুমানোর জন্য হলেও মেসির একটা বিশ্বকাপ দরকার।
টানা তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারলেও পেত্রো মনে করেন, চতুর্থবার মেসির প্রতি ভাগ্যদেবী সহায় হবেন।
প্রিমিয়ার ইন্টারন্যাশনাল টিম ইভেন্ট ডেভিস কাপে কখনো জিততে পারেননি এই আর্জেন্টাইন তারকা। এমনকি ১৯৮১ সালের পর চারবার আর্জেন্টাইন টেনিস তারকারা ডেভিস কাপের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা অধরাই রয়ে যায়। তাই মেসির কষ্টটা একটু বেশিই বোঝেন এই ২৯ বছর বয়সী তারকা।
র্যাংকিংয়ের ৯ নম্বরে থাকা পেত্রো আশা করেন, এবারই বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে পারবে আর্জেন্টিনা। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, তাঁকে (মেসি) কতটা ভুগতে হয়েছে।
বিশ্বকাপটা তাঁরই প্রাপ্য। অন্তত রাতে শান্তিতে ঘুমানোর জন্য হলেও।’
২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনাকে লড়তে হবে আইসল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। ১৫ জুন আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ আইসল্যান্ডের বিপক্ষে।