অপেক্ষা বাড়ল রাজ্জাকের
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডের শেষদিনে ছিল না বড় কোন চমক। স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ৫০০ উইকেটের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেননি। এক উইকেটের জন্য তাঁর অপেক্ষা বেড়েছে। অবশ্য এদিনে বড় জয় পেয়েছে বিসিবি উত্তারঞ্চল। আর মুমিনুল হকদের বিপক্ষে ড্র করেছেন মোসাদ্দেক হোসেনরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের কাছে নয় উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে আসরের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল।
আগের দিনের সাত উইকেটে ২৩৪ রান নিয়ে খেলতে নামা মাধ্যাঞ্চল তিনশ’র ঘর পার করে মোশাররফ হোসেন রুবেলের ব্যাট হাতের দৃঢ়তায়। ৬১ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। তাঁকে যোগ্য সমর্থন যুগিয়েছেন তানভীর হায়দার (৩৮)। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রুবেল ফিরে গেলে মধ্যাঞ্চলের পুঁজি দাঁড়ায় ৩৩৬ রানে। সোহরাওয়ার্দী শুভ তুলে নেন চার উইকেট।
৬৮ রানের নামমাত্র লক্ষ্যমাত্রা জহুরুল ইসলামের দল ছুঁয়ে ফেলে ১২.১ ওভারেই। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩১ এবং জুনায়েদ সিদ্দিক ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রথম ইনিংসের অনবদ্য ১৫৮ রান এবং গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে পাঁচ ক্যাচ নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন উত্তরাঞ্চলের জহুরুল ইসলাম অমি।
অন্যদিকে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে চার উইকেট নিতে পারলেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে রাজ্জাক ঢুকে যেতেন ৫০০ উইকেটের ক্লাবে। ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ও প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের নিষ্প্রাণ ম্যাচের শেষ দিনের শেষ বিকেলে দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিয়ে যা একটু প্রাণ জাগিয়েছিলেন এই রাজ্জাকই। তবে ৪৯৯ উইকেট নিয়ে পরের ম্যাচের অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে রাজ্জাককে।
তুষার ইমরান ও মোসাদ্দেক হোসেনের জোড়া সেঞ্চুরিতে দক্ষিণাঞ্চল তৃতীয় দিন শেষ করেছিল ৫ উইকেটে ৩১৮ রানে। তবে সোহাগ গাজীর পাঁচ উইকেট শিকারের চতুর্থ দিনে আর মাত্র ৭৭ রান যোগ করতে পেরেছে দলটি। ৩৯৫ রানে শেষ হয় দক্ষিণাঞ্চলের ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পূর্বাঞ্চল চার উইকেট হারিয়ে স্কোরকার্ডে ৯৩ রান তুলতেই শেষ হয়ে যায় দিনের খেলা। ব্যাট হাতে মোহাম্মদ আশরাফুল ফিরেছেন শূন্য হাতে। তবে লিটন দাসের ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস।
২৫৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি পূর্বাঞ্চলের কাপ্তান মুমিনুল হককে এনে দিয়েছে ম্যান সেরার পুরস্কার।