অশ্বিন-জাদেজার স্পিন জুটি হওয়ার পর ভারত যে ধরনের উইকেট বানাচ্ছে তাতে করে চতুর্থ দিন পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে যাওয়াটাই প্রতিপক্ষের জন্য দুরূহ হয়ে পড়েছে। ভারতের মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা দলের জন্য যেন একটা মৃত্যুপুরি। একটা পরিসংখ্যান দিলে বিষয়টা আরো পরিষ্কার হবে। ১৯৯৮ সালের পর প্রায় ২০ বছরে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের মাটিতে সেঞ্চুরি করেছেন প্রতিপক্ষের কেবল চারজন ব্যাটসম্যান। সর্বশেষ ঘটনাটি ১০ বছর আগে, ২০০৭ সালের। সেবার ইউনিস খান সেঞ্চুরি করে দেশের হয়ে ম্যাচ বাঁচিয়েছিলেন। দশ বছর পর ধনঞ্জয় ডি সিলভাও একই কীর্তি গড়লেন। নিশ্চিত জিতে যাওয়া ম্যাচটা ভারতের কাছ থেকে কেড়ে নিলেন এই লঙ্কান ক্রিকেটার।

জয়ের জন্য লঙ্কানদের সামনে ৪১০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য রাখে ভারত। সেটাতে চড়তে গিয়ে চতুর্থ দিন শেষে ৩১ রানেই তিন উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। টেস্টের শেষ দিনে জয়ের জন্য লঙ্কানদের দরকার ছিল ৩৭৩ রান। আর ভারতের দরকার মাত্র ৭ উইকেট। দ্বিতীয়টাই যে সবচেয়ে সহজ সেটা তো সবারই জানা। তবে ভারতের জন্য সহজ কাজটিই কঠিন করে দিলেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা।

পঞ্চম দিন সকালেই জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল বিরাট কোহলির দল। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে রাহানের তালুবন্দি করান জাদেজা। ভারতের লক্ষ্য তখন বাকি উইকেটগুলো দ্রুত তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করা। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন ধনঞ্জয়। একটা প্রান্ত আগলে রাখলেন ৭৬ ওভার পর্যন্ত। ২১৯ বলে ১১৯ রান করার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচ বাঁচানোর মতো দারুণ অবস্থায় চলে এসেছে শ্রীলঙ্কা। দিনের বাকি ওভারগুলোতেও ভারতীয় বোলারদের হতাশ করে চলেন নিরোশান দিকভেল্লা ও রোশেন সিলভা। পঞ্চম দিন শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫ উইকেটে ২৯৯। সিলভা ৭৪ ও দিকভেল্লা ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলাফল-দিল্লি টেস্ট ড্র। ম্যাচটা ড্র হলেও সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। এনিয়ে টানা নয়টি টেস্ট সিরিজ জিতল কোহলির দল।