কুমিল্লাকে ১৪০ রানের লক্ষ্য দিল চিটাগং
এবারের বিপিএলে কোনোকিছুই ভালো হচ্ছে না চিটাগং ভাইকিংসের। তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে দলটি। চতুর্থ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষেও চিটাগংয়ের পথচলাটা সুবিধের হলো না। প্রথমে ব্যাটিং করে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৯ রানই তুলতে পেরেছেন সৌম্য-মিসবাহরা।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল চিটাগংয়ের। প্রথম ৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৪৬ রান যোগ করেন লুক রঞ্চি ও সৌম্য সরকার। রঞ্চি ফেরার পর চিটাগংয়ের রানের চাকাটা ধীর হয়ে আসে। ১৯ বলে ৩১ রান করেন লুক রঞ্চি।
সৌম্য ও দিলশান মুনাবিরা চেষ্টা করলেও আরাফাত সানি, রশীদ খান ও মোহাম্মদ নবীর বিপক্ষে স্বচ্ছন্দে খেলতে পারছিলেন না। দলীয় ৮৩ রানে ফিরে যান সৌম্য সরকার। ৩২ বলে ৩০ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর ফিরে যান মুনাবিরা। ২৫ বলে ১৬ রান করেন এই লঙ্কান ক্রিকেটার।
সিকান্দার রাজা, মিসবাহ উল হক ও ক্রিস জর্ডান মিলে রানটাকে ১৩৯ পর্যন্ত নিয়ে আসেন। কুমিল্লার মোহাম্মদ নবী, সাইফুদ্দিন, ব্রাভো ও রশীদ খান নেন একটি করে উইকেট। রাজা ২০ রান করেন। এ ছাড়া জর্ডান ও মিসবাহ দুজনেই ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বিপিএলে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। নিজেদের প্রথম ম্যাচটা হেরে যায় ইমরুল-লিটনের দল। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে চার উইকেটে হেরে বসে দলটি। এরপর অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় কুমিল্লা। পরের দুটি ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংস ও রাজশাহী কিংসকে হারিয়ে লড়াইয়ে ফেলে মোহাম্মদ নবীর দল।
অপরদিকে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে বিপিএলে ভালো সূচনা করেছিল চিটাগং ভাইকিংস। তবে পরের দুটি ম্যাচে হেরে বসে মিসবাহ উল হকের দল। আবার জয়ের ধারায় ফিরতে চায় দলটি। আজ দলে ফিরছেন তামিম ইকবাল। তবে অধিনায়কত্ব করবেন মোহাম্মদ নবী।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আল আমিন হোসেন, আরাফাত সানি, মারলন স্যামুয়েলস, ডোয়াইন ব্রাভো, জস বাটলার, মোহাম্মদ নবি ও রশীদ খান।
চিটাগং ভাইকিংস : সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, এনামুল হক, শুভাশীষ রায়, সানজামুল ইসলাম, লুক রনকি, মিসবাহ উল হক, সিকান্দার রাজা, দিলশান মুনাবিরা, সোহরাওয়ার্দী শুভ ও ক্রিস জর্জান।