খুলনাকে জিততে দিলেন না পোলার্ড-জহুরুল
ম্যাচটা প্রায় হেরেই বসেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। তবে হাল ছাড়েননি কাইরন পোলার্ড ও জহুরুল ইসলাম অমি। এই দুজনের ব্যাটিং-নৈপুণ্যে নিশ্চিত হেরে বসা ম্যাচে জয় পেল ঢাকা ডায়নামাইটনস। প্রথমে ব্যাটিং করে খুলনা সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। জবাবে এক বল হাতে রেখেই চার উইকেটে জিতে ম্যাচটা পকেটে পুরল সাকিব আল হাসানের দল। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও উঠলেন সাকিব-আফ্রিদিরা।
শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৪১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। প্রথম ওভারে এভিন লুইস ও দ্বিতীয় ওভারে শহীদ আফ্রিদি ফিরে যান। পঞ্চম ওভারে ক্যামেরনি দেলপোর্ট ফিরে গেলে চাপ বাড়ে ঢাকার। এরপর ২৪ রানে সুনীল নারাইন ও দলীয় ৪১ রানে ফিরে যান সাকিব আল হাসান।
ডুবতে বসা ঢাকার ইনিংসটাকে সামলান কাইরন পোলার্ড ও জহুরুল ইসলাম অমি। ৬৩ রান যোগ করেন এই দুজন। তাতে পোলার্ডের অবদান ৫৫! দলীয় ১১৪ রানে শফিউলের বলে আউট হন পোলার্ড। মাত্র ২৪ বলে ছয়টি ছক্কা ও তিন চারে ৫৫ রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। যতক্ষণ পোলার্ড ক্রিজে ছিলেন, ঢাকার জয়টাকে খুবই সহজ মনে হচ্ছিল। ৩৯ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন জহুরুল।
পোলার্ড ফিরে আসার পর ঢাকাকে আবার চেপে ধরেন খুলনার বোলাররা। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে ম্যাচে ফেরান জহুরুল ইসলাম। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার দরকার ছিল ৬ রান। কার্লোস বাফেটের প্রথম চার বলে মাত্র দুই রান নেন মোসাদ্দেক-জহুরুল। এই সময় ম্যাচটা হেলে পড়ে খুলনার দিকে। পঞ্চম বলে দারুণ এক চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন জহুরুল।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান করেছে খুলনা টাইটানস। জয়ের জন্য ঢাকা ডায়নামাইটসের দরকার ১৫৭ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২২ রানে মাইকেল কিলিঞ্জারকে হারায় খুলনা। ১৪ বলে ১০ রান করেন তিনি। এরপর ধীমান ঘোষও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। দশম ওভারে খুলনার রান যখন মাত্র ৪৬ তখন আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। রানের চাকা একেবারে ধীরগতির হওয়ায় বিপদে পড়ে যায় দলটি।
এরপর মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল আউট হয়ে গেলে বিপদ বাড়ে খুলনার। এরপর রিলে রুশো ও কার্লোস ব্রাথওয়েট মিলে রানের চাকাটা সচল করেন। মাত্র ২৯ বলে ৬৪ রান করেন বার্থওয়েট। চারটি চার ও ছয়টি ছক্কার মার ছিল তাঁর ইনিংসে। অন্যপ্রান্তে রিলে রুশো করেন ৩০ বলে ৩৪ রান।
শেষ পর্যন্ত ১৫৬ রানে শেষ হয় খুলনার ইনিংস। ঢাকা ডায়নামাইটসের আবু হায়দার রনি নেন দুটি উইকেট। এ ছাড়া আফ্রিদি, সাকিব ও সুনীল নারাইন নেন একটি করে উইকেট।