টেস্ট হতাশাও ঘুচবে কি?
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ যে এখন সমীহ জাগানিয়া শক্তি, তা হয়তো আর কেউই অস্বীকার করতে পারবে না। পাকিস্তান-ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকা বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে সেটা ভালোমতোই প্রমাণ করেছে মাশরাফি বাহিনী। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখনো যেন অপরিপক্ব। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন মুশফিক-সাকিব-তামিমরা। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই হতাশা ঘুচবে কি না, এমন প্রশ্নই ঘুরছে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে।
এমনিতেই বাংলাদেশের টেস্ট পরিসংখ্যান হতাশাজনক। অনেক হারের মাঝে মাঝে-মধ্যে দেখা মেলে দুই-একটি ড্র। জয়ের সংখ্যা তো আরো কম। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের অবস্থা আরো নাজুক। এখন পর্যন্ত আটটি টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে সবগুলোতেই হারের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাতটিই আবার ইনিংস ব্যবধানে।
তবে এবার ভিন্ন কিছু দেখা যেতে পারে, এমন আশায় বুক বেঁধেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। কারণ ২০০২-২০০৮ সালের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশের ব্যবধান অনেক। সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানদের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা যেন বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার প্রতীক। ওয়ানডের মতো টেস্টেও তাঁরা নতুন দিগন্তের সূচনা করবেন, এমনটাই প্রত্যাশা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট খেলেছিল ২০০২ সালে। হাবিবুল বাশার, খালেদ মাসুদ, মোহাম্মদ রফিকরা সেই ম্যাচে হেরেছিলেন ইনিংস ও ১০৭ রানের ব্যবধানে। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস ও ২০৫ রানের ব্যবধানে। ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে আরেকটি টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ৬০ রানে।
এবার সেই চট্টগ্রামে বাংলাদেশ প্রতিরোধগাঁথা রচনা করতে পারবে কি না, সেটা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২১ জুলাই থেকে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট।