ভারতের ক্রিকেট-ব্যক্তিত্বদের বাংলাদেশ-প্রশস্তি
বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেন উড়ছে। ইংল্যান্ডকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা এবং শেষ আটের লড়াইয়ে ভারতের কাছে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তে হেরে যাওয়ার পর দেশে ফিরে বীরোচিত সংবর্ধনা পেয়েছিল মাশরাফির দল। বিশ্বকাপের পর তো একের পর এক সাফল্য। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ, ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে হারানোর পর শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাও উড়ে গেছে বাংলাদেশের প্রতাপের সামনে। বাংলাদেশের এই অসাধারণ সাফল্যে সারা ক্রিকেট-দুনিয়ার মতো ভারতের ক্রিকেট-ব্যক্তিত্বরাও আপ্লুত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারকে ব্যবহার করে তাঁরা সাকিব-মাশরাফি-সৌম্য-মুস্তাফিজদের প্রশংসায় মেতে উঠেছেন।
জনপ্রিয় ক্রিকেট-ধারাভাষ্যকার ও ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মাঞ্জরেকার লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্য বিশ্বক্রিকেট আর বাংলাদেশি ভক্তদের জন্য এক কথায় অসাধারণ। ক্রিকেট নিয়ে আবেগে বাংলাদেশিরা ভারতীয় ভক্তদেরও পেছনে ফেলে দিয়েছে।’
এ নিয়ে ঘরের মাঠে টানা চারটি ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। আরেক জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে মনে করছেন, দেশের মতো দেশের বাইরেও বাংলাদেশের সাফল্যের সময় এসেছে, ‘এখন বাংলাদেশকে বিদেশের মাটিতেও জিততে হবে। কাজটা কঠিন, তবে একাধিক তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান আর বিশেষ করে দারুণ বোলিংয়ের কারণে তাদের সেই সুদিন হয়তো বেশি দূরে নেই।’
অজিত আগারকার অবশ্য এসব ‘কূটনীতি’র ধারেকাছেও যাননি। ভারতের এই সাবেক পেসার বরং মাশরাফির দলের ধারাবাহিক সাফল্যে উচ্ছ্বসিত, ‘গত কয়েকটি দুর্দান্ত মাসের জন্য টাইগারদের অভিনন্দন। অসাধারণ দলীয় পারফরম্যান্স বাংলাদেশ।’
সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফের বিশ্বাস, বাংলাদেশ এখন যে কারো জন্যই কঠিন প্রতিপক্ষ, ‘ক্রিকেটবিশ্বের কাছে পরিষ্কার ও জোরালো বার্তা হলো, তাদের (বাংলাদেশের) বিপক্ষে আর সহজে পার পাওয়া যাবে না।’
বিশিষ্ট ধারাভাষ্যকার এবং ক্রিকেট লেখক-সাংবাদিক আয়াজ মেমনও প্রোটিয়া-বধ করা বাংলাদেশকে নিয়ে আবেগাক্রান্ত। টুইটারে ‘ক্রিকেটওয়ালা’ নাম নিয়ে লেখা মেমনের প্রশস্তি, ‘ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে অপরাজেয় বলেই মনে হচ্ছে। তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকেও বিধ্বস্ত করেছে।’