মাশরাফির উচ্ছ্বাস, মাশরাফির পরিকল্পনা
সূচি অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশের আর কোনো ওয়ানডে ম্যাচ নেই। যেহেতু টেস্ট খেলেন না, তাই এ বছর মাশরাফি বিন মুর্তজার আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হচ্ছে না। বুধবার চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি খেলে ফেললেন এ বছরের শেষ ওয়ানডে। সামনে অফুরন্ত অবসর। এত দীর্ঘ সময় কীভাবে কাটাবেন নেতৃত্ব নিয়ে বাংলাদেশ দলকে বদলে দেওয়া মাশরাফি? না, সময়টা হেলায় নষ্ট করতে রাজি নন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। নিজেকে ফিট রাখার পরিকল্পনা এরই মধ্যে করে ফেলেছেন তিনি।
ঈদের পরই শুরু হবে মাশরাফির ব্যক্তিগত ‘কার্যক্রম’। তৃতীয় ওয়ানডে শেষে সংবাদ সম্মেলনে দেশের অন্যতম সেরা পেসার জানালেন, ‘জীবনের অনেকটা সময় একা পথ চলতে হয়েছে আমাকে। এখনো একাই আমাকে ঠিক করতে হয় সামনের পথচলা। তবে একটা পরিকল্পনা তো আছেই। সেটা কোচের সঙ্গে বসে ঠিক করব।’
বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের সামনের দিনগুলো নিয়ে পরিকল্পনা, ‘অবসর বলেই সময়টা হেলায় নষ্ট করার পক্ষে নই আমি। আমি নিজেই জানি আমাকে কী করতে হবে। নিয়মিত প্র্যাকটিস করব, নিজেকে আরো ভালোভাবে তৈরি করব সামনের দিনগুলোর জন্য।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয় করা ম্যাচে ২০০তম উইকেট পেয়ে উচ্ছ্বসিত মাশরাফি বললেন, ‘এ ধরনের অর্জন সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। আমিও অনুপ্রাণিত হই। এই অর্জন থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস ভবিষ্যতে আমাকে অনেকদূর এগিয়ে নেবে।’
দেশের মাটিতে টানা চারটি ওয়ানডে সিরিজ জয় এবং বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ আজ ক্রিকেট-দুনিয়ার আলোচিত দল। প্রায় ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তাঁর নেতৃত্বেই দল এমন অভাবনীয় সাফল্যে মেতে ওঠায় মাশরাফি উচ্ছ্বসিত, ‘গত আট-নয় মাস মনে রাখার মতোই কেটেছে আমাদের। এসব অর্জনের কথা সারা জীবন মনে থাকবে। ভবিষ্যতে স্মৃতিচারণা করতে বসে যখন মনে হবে আমিও এসব সাফল্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তখন ভালো লাগা আরো বেড়ে যাবে।’
মাশরাফি অবশ্য সবচেয়ে বেশি আপ্লুত বাংলাদেশ দল ক্রমাগত স্বপ্নপূরণ করে চলায়, ‘এই দক্ষিণ আফ্রিকার কথাই ভাবুন না। একসময় তাদের হারানো আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। এখন তাদের বিপক্ষে আমরা সিরিজ জিতেছি। দলের এমন ইতিবাচক পরিবর্তন দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। এই সাফল্য ভবিষ্যতে আমাদের আরো অনুপ্রাণিত করবে।’