রেকর্ড গড়েই তামিমের জবাব
সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তামিম ইকবালের। গত মাসে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৬০ রান করলেও তার পর থেকে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিলেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি ওপেনার। টানা ছয় ম্যাচে যাঁর রান ১৩, ৫, ৫, ১৩, ০, ৫ তাঁকে নিয়ে দলের দুশ্চিন্তা তো হবেই। তবে বাংলাদেশ দলের দুশ্চিন্তার চেয়েও সমালোচকদের তীর যেন বেশি অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল তামিমকে। তিনি সব সমালোচনার জবাব দিলেন স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে, ব্যাট হাতে। ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে বাংলাদেশের পক্ষে নতুন এক রেকর্ড গড়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের আগে তামিম ও সাকিবের ৩০টি করে অর্ধশতক ছিল। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তাঁদের শতকের সংখ্যাও সমান—ছয়টি। তবে বুধবার অপরাজিত ৬১ রানের দৃঢ়তাভরা ইনিংস খেলে সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন তামিম। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ৩১টি অর্ধশতক করার কৃতিত্ব এখন এককভাবে তাঁর অধিকারে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের লড়াইয়েও তামিম ও সাকিবের মধ্যে একটা ‘মধুর’ প্রতিযোগিতা চলছে। এখানেও এগিয়ে তামিম। ১৫০ ম্যাচে ১৪৯টি ইনিংস খেলে তামিমের সংগ্রহ ৪,৫৮১ রান। আর ১৫৬ ম্যাচে ১৪৮টি ইনিংস খেলে সাকিব করেছেন ৪,৩৮২ রান। গড় অবশ্য সাকিবের তুলনামূলক ভালো। ওয়ানডেতে তামিমের গড় ৩১.৩৭, আর সাকিবের ৩৫.৩৩।
তামিম আর সৌম্যর দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে তৃতীয় ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের নয় উইকেটে গুঁড়িয়ে দিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। তামিম-সৌম্যর ১৫৪ রান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির তালিকায় এটার অবস্থান নবম, আর তৃতীয় সেরা উদ্বোধনী জুটি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনবার শত রানের জুটি গড়ার কীর্তিও এ মুহূর্তে তামিম-সৌম্যর দখলে।