একই ম্যাচে বাবা-ছেলের গোল!
বাবার অনুপ্রেরণায় ছেলেও খেলা শুরু করেছেন এমন উদাহরণ ক্রীড়াজগতে অনেক। কিন্তু একই ম্যাচে বাবা-ছেলে খেলছেন, এমনকি গোলও করছেন এমন দৃষ্টান্ত খুব বেশি নেই। সম্প্রতি এমন বিরল ঘটনার জন্ম হয়েছে ব্রাজিলের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের একটি ম্যাচে।
বাবা রিভালদো ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক। তাঁর ছেলে রিভালদিনিয়ো ২০ বছরের প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার।
৪৩ বছর বয়সী রিভালদো ২০১৪ সালের মার্চে ফুটবল থেকে অবসর নিয়ে সভাপতির দায়িত্ব নেন প্রথম জীবনের ক্লাব মোজি মিরিমের। এই দায়িত্ব পালন করতে করতে নজর রাখছিলেন ছেলের ফুটবল ক্যারিয়ারের দিকে। কিন্তু দ্বিতীয় বিভাগের দলটির দুরবস্থা দেখে এ মাসের শুরুতে আবার জার্সি পরে নেমে পড়েছেন মাঠে।
তার সুফল পেতেও দেরি হয়নি। মঙ্গলবার রিভালদো আর রিভালদিনিয়োর নৈপুণ্যে শক্তিশালী মাকায়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মোজি মিরিম। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে বাবার ক্রস থেকে হেড করে দলকে এগিয়ে দেন রিভালদিনিয়ো। তাঁর দ্বিতীয় গোলটিও এসেছে বাবার সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান খেলে। রিভালদো গোল করেছেন পেনাল্টি থেকে।
ফুটবলে বাবা-ছেলের একসঙ্গে খেলার ঘটনা কদাচিত দেখা গেছে। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে ইংল্যান্ডের হারফোর্ড ইউনাইটেডের হয়ে একসঙ্গে খেলেছিলেন বাবা ইয়ান বোইয়ার ও ছেলে গ্যারি বোইয়ার। ১৯৫০-এর দশকে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল বাবা অ্যালেক হার্ড ও ছেলে ডেভিডকে। ডেভিড অবশ্য পরে পাড়ি জমিয়েছিলেন নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাবার বদলি হিসেবে ছেলেকে মাঠে নামতে দেখা গেছে। ১৯৯৬ সালে ১৭ বছর বয়সী এইডুর গুডজনসেন মাঠে নেমেছিলেন ৩৪ বছর বয়সী বাবা আর্নোরের বদলি হিসেবে। গুডজনসেনদের আইসল্যান্ড সেই ম্যাচে ৩-০ গোলে এস্তোনিয়াকে হারিয়েছিল। এই পিতা-পুত্র জুটি অবশ্য কখনো কোনো পেশাদার ম্যাচ একসঙ্গে খেলেনি।