আয়ারল্যান্ডকে সহজেই হারাল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে মাত্র ১৮১ রানে অলআউট করে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব রসদই বোলাররা জোগাড় করে রাখেন। ব্যাটসম্যানদের কাজটা ছিল কেবল তুলিতে শেষ আঁচড়টা টানা। দারুণভাবে নিজেদের কাজটা সম্পন্ন করেছেন ব্যাটসম্যানরা। সৌম্য সরকারের ৮৭ ও তামিম ইকবালের ৪৭ রানে ভর করে আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারাল টাইগাররা। এই জয়ে টুর্নামেন্টে ভালোভাবেই টিকে থাকল মাশরাফির দল।
১৮২ রানের জবাবে দুর্দান্ত সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে এই দুজন সংগ্রহ করেন ৯৫ রান। এরপর আউট হন তামিম। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে কেভিন ও’ব্রায়েনের বলে নেইল ও’ব্রায়েনকে ক্যাচ দেন টাইগার ওপেনার। ৫৩ বলে ছয়টি চারে ৪৭ করেন তামিম। সতীর্থ আউট হলেও নিজের কাজটা ভালোভাবেই পালন করেন সৌম্য সরকার। তামিম আউট হওয়ার পর সাব্বির রহমানকে নিয়ে আরো ৭৬ রান যোগ করেন সৌম্য। ৩৪ বলে ৩৫ রান করে সাব্বির আউট হলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সৌম্য সরকার। শেষ পর্যন্ত ৬৮ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি এই ওপেনার। অপর প্রান্তে মুশফিক অপরাজিত থাকেন ২ রানে।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের মেলহাইড স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বোলারদের বোলিংয়ের তোপের সামনে মাত্র ১৮১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। আজ ইনিংসের প্রথমেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। আইরিশ ইনিংসের সেটা দ্বিতীয় ওভার। পল স্টার্লিংকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্লিপে সহজ এক ক্যাচ নেন সাব্বির রহমান। আয়ারল্যান্ড তখনো রানের খাতা খোলেনি।
এরপর ভালোই খেলছিলেন অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও এড জয়সে। দলীয় অষ্টম ওভারে পোর্টারফিল্ডের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে পরের ওভারেই প্রায়শ্চিত্ত করেন এই অলরাউন্ডার। দারুণ এক বলে পোর্টারফিল্ডকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর ১৫তম ওভারে সাকিবের আর্মারে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হন বালবার্নি।
৬১ রানে ৩ উইকেটে হারিয়ে আইরিশ দল তখন বেশ বিপদে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলের বিপর্যয়টা ঠেকান নেইল ও’ব্রায়েন ও এড জয়েস। এই দুজন যোগ করেন ৫৫ রান। জুটিটা যখন বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল মাশরাফি তখন ফিরিয়ে আনেন তাঁর মূল অস্ত্র মুস্তাফিজকে। ২৮তম ওভারের তৃতীয় বলে মুস্তাফিজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তামিমের হাতে ধরা পড়েন নেইল ও’ব্রায়েন। ৪২ বলে ৩৩ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এরপর অভিষিক্ত সানজামুলের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মাশরাফি। আস্থার প্রতিদান দিতে খুব একটা দেরি করেননি সানজামুল। ভালো খেলতে থাকা এড জয়েসকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচে টাইগারদের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তোলেন তিনি।
এরপর কেভিন ও’ব্রায়েন ও গ্যারি উইলসনকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচে বাংলাদেশের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন মুস্তাফিজ। কেভিন ও’ব্রায়েন ১০ ও উইলসন ৬ রান করেন। ব্যারি মাককার্থি অবশ্য খানিকটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সানজামুলের সামনে তার লড়াইটা বেশিক্ষণ টেকেনি। ২৩ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। আর শেষ ওভারে ডকরেল ও পিটার চেজকে ফিরিয়ে দিয়ে আয়ারল্যান্ডের ইনিংসটা গুটিয়ে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন এড জয়সে। এ ছাড়া নেইল ও’ব্রায়েন ৩০, ডকরেল ২৫ ও পোর্টারফিল্ড করেন ২২ রান। মুস্তাফিজ চারটি, সানজামুল ও মাশরাফি নেন দুটি করে উইকেট।