দুবার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সব সময় সাকিবকে ধরেই দল সাজিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। তবে এবারের চিত্রটা ভিন্ন। চলতি আসরে শুরু থেকেই মাঠের বাইরে রয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এমনকি ইডেনের পিচেও সাকিবকে ছাড়াই নামছে তাঁর দল। মূলত কুলদ্বীপ যাদবকে দলে ভেড়ানোর পরই অনেকটা ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন সাকিব। গত চার ম্যাচে বল হাতে ভালোই করেছেন কুলদ্বীপ। স্পিনার হিসেবে গৌতম গম্ভীরের কাছে পীযূষ চাওলা, সুনীল নারাইনের মতো বিকল্প রয়েছে। পেস অলরাউন্ডার হিসেবে কলিড ডি গ্রান্ডহোম ও নাথান কোল্টার নাইল ও ক্রিস উকস রয়েছেন দলটিতে।

তবে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে খেলতে পারেন সাকিব। ইডেনের পিচ বরাবরই স্পিন সহায়ক। আর বল হাতে ক্রিস উকস ও গ্রান্ডহোম মনে রাখার মতো কিছুই করতে পারেননি। আর এবারের আসরে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গুজরাট লায়ন্সের। তাই উকস বা গ্রান্ডহোমকে বাদ দিয়ে সাকিবকে খেলানোর কথা আজ ভাবতেই পারেন গম্ভীর।

স্পিনার হিসেবে এই আসরে পীযূষ চাওলার রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। গুজরাটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে চার ওভারে ৩৬ রান দিয়েও কোনো উইকেট পাননি চাওলা। দ্বিতীয় ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৩ ওভারে দেন ৩৩ রান। চাওলার বদলি হিসেবে নামা গ্রান্ডহোমের পারফরম্যান্সও খুব একটা ভালো নয়। প্রথম ম্যাচে দুই ওভারে দেন ১৫ রান। দিল্লির বিপক্ষেও ব্যাট ও বল হাতে ব্যর্থ হন কিউই অলরাউন্ডার। আজ ক্রিস উকস বা গ্রান্ডহোমের মধ্যে কাউকে বসিয়ে সাকিবকে খেলাতে পারে কেকেআর ম্যানেজম্যান্ট। কারণ এই আসরে বল হাতে যথেষ্ট রান দিয়েছেন ইংলিশ পেসার।

ইডেনের পিচে ব্যাট ও বল হাতে বেশ সফল সাকিব আল হাসান। কলকাতায় ২০ ম্যাচে ৩২.৩৩ গড়ে ২৯১ রান করেছেন সাকিব। বল হাতে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। উকস কিংবা গ্রান্ডহোমের রেকর্ডের চেয়ে অনেক ভালো পরিসংখ্যান সাকিবের। তাই আজ মাঠে সাকিবকে দেখার আশা করতেই পারেন আপনি।