২০১৩ সালে অনেকটা চুরি করেই ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোস থেকে নেইমারকে উঠিয়ে নিয়ে যায় বার্সেলোনা। প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে স্পেনের ক্লাবটিতে যোগ দেন নেইমার। যদিও কাতালান ক্লাবটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৫৭ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সায় এসেছেন তিনি। এ নিয়ে অবশ্য এখনো মামলা চলছে। তবে আসার পরই নেইমার বুঝিয়ে দিয়েছেন, ট্রান্সফার ফি যতই হোক না কেন, তাঁকে কিনে ভুল করেনি বার্সা। একের পর এক ম্যাচে বিস্ময় উপহার দিয়ে চলেছেন এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। মাত্র ১৭৭ ম্যাচে বার্সায় গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন নেইমার। তাঁর সেঞ্চুরির দিন গ্রানাডাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা।

মেসির কপালে যেন শনি ভর করেছে। আর্জেন্টিনার হয়ে চার ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন। আর ক্লাব ফুটবলের শেষ ম্যাচে মৌসুমের চতুর্থ হলুদ কার্ড পাওয়ায় বার্সেলোনার হয়ে এক ম্যাচে নিষিদ্ধ রয়েছেন। তাই তাঁকে ছাড়াই গ্রানাডার বিপক্ষে মাঠে নামতে হয় বার্সেলোনাকে। তবে নেইমারের রেকর্ডের ম্যাচে জিততে খুব একটা সমস্যা হয়নি বার্সার।

ম্যাচের একেবারে শেষ সময়ে গোল করে বার্সেলোনার হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করলেন নেইমার। ব্রাজিল তারকার এমন অর্জনে যারপরনাই খুশি কাতালান কোচ লুইস এনরিকে। ‘প্রতি ম্যাচেই নেইমার নিজেকে সেরা প্রমাণ করে যাচ্ছেন। তাঁকে সামলানোটা প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন হয়ে গেছে।’ বার্সেলোনা বস মনে করেন, বার্সার হয়ে একদিন হাজার গোল করবেন নেইমার। ‘সে যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আমি আশা করি, বার্সার জার্সিতে সে হাজার গোল করবে।’   

হাজার গোলের মাইলফলকের ম্যাচে সতীর্থ মেসিকে ছাড়িয়ে গেলেন নেইমার। বার্সার জার্সিতে ১৮৮ ম্যাচে গোলের সেঞ্চুরি করেন মেসি। ক্লাব সতীর্থকে ছাড়িয়ে যেতে ১০ ম্যাচ কম খেলতে হয়েছে নেইমারকে। সুয়ারেজ অবশ্য ১২০ ম্যাচেই একশ গোল পূর্ণ করেন। বার্সার জার্সি গায়ে সবচেয়ে কম ম্যাচে একশ গোল করার রেকর্ডটা স্পেনের মারিয়ানো মার্টিনের। কিংবদন্তি এই ফুটবলার মাত্র ৯৯ ম্যাচে ১০০ গোল করেন। সর্বসাকল্যে বার্সার জার্সিতে ১৮ ফুটবলার একশ গোলের বেশি করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ হলেন রিভালেদো, মেসি, সুয়ারেজ ও নেইমার।