পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান স্যামুয়েলস!
পাকিস্তানে গিয়ে খেলতেই রাজি হন না বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা, পিএসএল-এর ফাইনাল পাকিস্তানের মাটিতে আয়োজিত হলেও সেখানে অংশ নেননি অনেক তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার মারলন স্যামুয়েলসকে দেখা গেল পুরোপুরি ভিন্ন অবস্থানে। পাকিস্তানের আতিথেয়তায় রীতিমতো মুগ্ধ এই ক্যারিবীয় ক্রিকেটার। এমনকি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতেও নাকি যোগ দিতে চান স্যামুয়েলস।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ক্রিকেট বিশ্বে একরকম নির্বাসিতই হয়ে আছে পাকিস্তান। বড় কোনো টেস্ট খেলুড়ে দল তার পর থেকে আর যায়নি পাকিস্তান সফরে। বাধ্য হয়ে হোম সিরিজগুলো পাকিস্তানকে খেলতে হয় আরব আমিরাতে গিয়ে। সেই নির্বাসিত অবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য পাকিস্তানের মাটিতেই পিএসএলের ফাইনাল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। লাহোরে সেই ফাইনাল খেলতে গিয়েই পাকিস্তানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্যামুয়েলস।
নিজের টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় স্যামুয়েলস বলেছেন, ‘আমার জন্য পাকিস্তানে আসাটা শুধুই একটা ক্রিকেট ম্যাচের ব্যাপার ছিল না। এটা একটা দলের গুরুত্ব আর সাফল্য বোঝানো আর অনেক মানুষের মুখে হাসি ফোটানোরও ব্যাপার, যারা অনেক দিন ধরেই বিষণ্ণ হয়ে আছে।’
পিএসএলের ফাইনাল উপলক্ষে পাকিস্তানে দেখা গিয়েছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যবস্থা। সব কিছুর তত্ত্বাবধানে ছিল দেশটির সেনাবাহিনী। শেষপর্যন্ত সব কিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তাই সেনাবাহিনীকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন স্যামুয়েলস, ‘সেনাবাহিনীকে অনেক ধন্যবাদ সব কিছু দারুণভাবে সামলানোর জন্য। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল সত্যিই খুব উচ্চ মানের। এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব না। আমি জ্যামাইকাতে পাকিস্তানিদের সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। তারা সবাই আমার খুব ভালো বন্ধু। আমিও মনেপ্রাণে একজন পাকিস্তানি।‘
এখানেই থেমে থাকেননি স্যামুয়েলস। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাও নাকি আছে তাঁর। পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন সৈনিক। আর আমি আপনাকে সেলাম জানাই জেনারেল। আমি পাকিস্তানে আসতে দ্বিধা করব না যদি আমার কাঁধে একটা তারকা লাগানোর সুযোগ পাই। আমি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অংশ হতে চাই।’