সাদা পোশাকে দেখা যাবে মুস্তাফিজকে?
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যে কোনো দলের অধিনায়কের জন্যই একটা বড় ভরসার নাম হতে পারেন মুস্তাফিজুর রহমান। দুই বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সেটা ভালোমতোই প্রমাণ করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। জায়গা করে নিয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশেও। কিন্তু ক্রিকেটের আদিতম সংস্করণে এখনো সেভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি ফিজ। ইনজুরি-প্রবণতার কারণে তাঁকে বিশ্রাম দিয়ে দিয়েই খেলাতে বাধ্য হচ্ছেন বাংলাদেশের নির্বাচকরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও মুস্তাফিজকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে আছে সংশয়।
ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের উইকেটটি একেবারেই ঘাসে ঢাকা। সবুজ এই উইকেটে যে পেসাররা আগুন ছড়াবেন, তা অনুমান করে নিতে কষ্ট হচ্ছে না। মুস্তাফিজের মতো বোলার যে এই উইকেটে ব্যাটসম্যানদের ভালোই বিপাকে ফেলতে পারেন, তাও জানা কথা। কিন্তু সাদা পোশাকে মুস্তাফিজকে শেষপর্যন্ত দেখা যাবে কি না, তা নিশ্চিত না। কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হয়তো মাঠের বাইরেই থাকতে হতে পারে তরুণ এই বাঁহাতি পেসারকে।
২০১৬ সালে আইপিএলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে নজর কেড়েছিলেন মুস্তাফিজ। তারপর ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব সাসেক্সের হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন কাঁধে। করাতে হয়েছিল অস্ত্রোপচারও। সেই ধকল এখনো ভালোমতো সামলে উঠতে পারেননি মুস্তাফিজ। নিউজিল্যান্ড সফরে গেলেও তাঁকে সবগুলো ম্যাচে খেলাননি বাংলাদেশের কোচ-নির্বাচকরা। খেলেছেন দুটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এখন টেস্টে দীর্ঘ সময় ধরে বোলিং করে গেলে আবার নতুন করে সমস্যা তৈরি হতে পারে, এমন আশঙ্কাও বেশ ভালোমতোই আছে। ফলে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মুস্তাফিজকে বাদ দিয়েই সাজানো হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ।
মুস্তাফিজ এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলেছেন মাত্র দুটি। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই দুই টেস্টে পেয়েছেন চারটি উইকেট। আর ১১টি ওয়ানডে খেলে মুস্তাফিজের শিকার ৩০টি উইকেট। ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে ঝুলিতে পুরেছেন ২৩টি উইকেট।