হ্যান্ডশেক নয়, লিটনরা করবেন ‘এলবোশেক’
দেখা হলেই মানুষ একে অপরের সঙ্গে হ্যান্ডশেক বা হাত মেলান। ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও হাত মেলানোর রীতি পুরোনো। তবে বর্তমানে এই হ্যান্ডশেকই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে হ্যান্ডশেক করতে নিষেধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আগামীকাল রোববার থেকে মাঠে গড়াবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। এরই মধ্যে মিরপুর একাডেমিতে চলছে দলগুলোর অনুশীলন। আজ শনিবার মাঠে আসা ক্রিকেটারদের অনেকেই করমর্দনের পরিবর্তে কনুইমর্দন করছেন। অনেকে আবার দুষ্টুমি করে হ্যান্ডশেকও করছেন। তবে হ্যান্ডশেকের বিষয়টি যতটা সম্ভব কমানো যায় সেটার বিষয়ে ভাবছে বিসিবি।
সারা বিশ্বে মহামারির আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। ১২৩টি দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে প্রায় অচলাবস্থা। একের পর এক স্থগিত হয়ে যাচ্ছে সব টুর্নামেন্ট। এর মধ্যেই কাল মাঠে গড়াবে ডিপিএল।
তবে ডিপিএল চলাকালীন করোনা নিয়ে বেশ সতর্ক থাকবে বিসিবি। এ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘হাত মেলানোর যে প্রচলিত বিধান, সেটা কীভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা যেহেতু অভ্যস্ত এ (হ্যান্ডশেক) ব্যাপারে। এখন এটা যতটা কমিয়ে আনা যায়।’
সুজন আরো বলেন, ‘ডিপিএলে আমাদের কিছু উপদেশ থাকবে প্রতিটি দলের প্রতি। করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর নিয়ে আলোচনা হবে। কোনো খেলোয়াড় বা কর্মকর্তা যদি সামান্যতম অসুস্থবোধ করে বা কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে যেন বিসিবির মেডিকেল দল ও ক্লাবকে জানায়। ক্লাব যেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।’
ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাছেও হ্যান্ডশেকের চেয়ে এলবোশেক বেশি ভালো উপায় মনে হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘আমাদের সংস্কৃতিতে হাত না মেলানো হয়তো অনেকে পছন্দ করবে না। তবে পরিস্থিতি এমনই, হ্যান্ড শেকের বিকল্প কিছু করতেই হবে। হ্যান্ডশেক আপাতত যত কম করা যায়। এর জন্য এলবোশেক বা কনুই মেলানো সেরকম একটা কিছু করা যেতে পারে।’