হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াল ভারত
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ আগেই হাতছাড়া করেছে ভারত। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে এই ম্যাচ জয়ের বিকল্প ছিল না কোহলিদের। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতে মান বাঁচাল সাফরকারি দলটির।
আজ বুধবার ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে ভারত অতিকষ্টে ১৩ রানে জিতেছে। ভারতের দেওয়া ৩০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ২৮৯ রানে।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বিরাট কোহলি, রবন্দ্র জাদেজা ও হার্দিক পান্ডিয়ার দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহ গড়ে ভারত।
ম্যাচে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে বাইরে রেখে শুভমান গিলকে ওপেনিংয়ে পাঠায় ভারত। গিল কোনোমতে ৩৩ রান করলেও ধাওয়ান ব্যর্থ হন। স্কোরবোর্ডে ১২৩ রান ওঠার আগেই ফিরে গিয়েছিলেন ধাওয়ান (১৬), গিল (৩৩), কেএল রাহুল (১৯) ও শ্রেয়াস আইয়ার (৫)।
বিরাট কোহলি একা টেনেছেন দলকে। তিনি ৬৩ রান করে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এরই মধ্যে একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ১২ হাজার রান করার কীর্তি গড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। পিছনে ফেলেন শচীন টেন্ডুলাকারকে। দেড়শ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে আবার যখন লজ্জাজনক বিপর্যয়ের শঙ্কায় পড়ে ভারত, সেই সময়ে ত্রাতা হয়ে ওঠেন হার্দিক। জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৫০ রানের জুটি গড়েন। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে হার্দিক করে যান ৭৬ বলে ৯২। অন্যদিকে জাদেজা ৫০ বলে ৬৬ রান করেন।
জয়ের জন্য বড় রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া একসময় ১৫৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে অসিদের ম্যাচে ফেরান ম্যাক্সওয়েল। ছোট ছোট জুটিতে তিনি দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
তবে ভারতকে সেখান থেকে ম্যাচে ফেরান বুমরাহ। নিখুঁত গতিতে স্ট্যাম্প ছিটকে দেন তিনি ম্যাক্সওয়েলের। ৩৮ বলে ৫৯ করে ফিরে যান তিনি। এরপর অসিদের জয়ের সম্ভাবনা ছিল না। তা হয়-ওনি। এদিন শামি, চাহাল, নভদীপ সাইনিকে বাইরে রেখে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন কোহলি। সেই স্ট্র্যাটেজি পুরোপুরি সফল। পরিবর্তে নামা শার্দুল ঠাকুর, নটরাজন, কুলদীপ প্রত্যেকেই এদিন বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
বুমরাহ এদিনই প্রথমবার চলতি সিরিজে জ্বলে উঠেছিলেন। ৪৩ রানে দুই উইকেট পান তিনি। নটরাজন ১০ ওভারে ৭০ রান খরচ করলেও লাবুশানে, আগারকে আউট করেন। শার্দুল নিজের কোটায় ৫১ রান খরচ করে তিন উইকেট তুলে নেন।