স্বর্ণ জয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
চলমান এসএ গেমসে এখন পর্যন্ত ১৯টি স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশ। এই সাফল্যে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার নেপালের পোখরায় আরচারিতে ১০টি স্বর্ণপদক জেতে বাংলাদেশ। তাই সব মিলিয়ে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়ের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯টিতে।
এর আগে ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে ১৮টি স্বর্ণপদক জিতেছিল ছিল বাংলাদেশ। এত দিন এক গেমসে এটিই ছিল সর্বোচ্চ সাফল্য। আর দেশের বাইরে সাফ (বর্তমান এসএ) গেমসের যেকোনো এক আসরে সর্বোচ্চ স্বর্ণ জয়ের সংখ্যা ছিল সাতটি। তা ছিল ১৯৯৫ সালে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত গেমসে।
চলমান গেমসের নবম দিনে নিজেদের একক প্রতিযোগিতার আরচারিতে সোমা বিশ্বাস, সোহেল রানা, রোমান সানা ও ইতি খাতুন দেশের হয়ে স্বর্ণপদক এনে দেন।
মেয়েদের মিশ্র একক ফাইনালে শ্রীলঙ্কান অনুরাধা করুনারত্নেকে ১৪২-১৩৪ স্কোরে হারিয়ে দিনের প্রথম স্বর্ণ এনে দেন বাংলাদেশের মেয়ে সোমা।
আরেক বাংলাদেশি আরচার সোহেল ছেলেদের মিশ্র একক ফাইনালে ভুটানের ডানডিন দর্জিকে ১৩৭-১৩৬ স্কোরে হারিয়ে দেশের হয়ে দিনের দ্বিতীয় স্বর্ণ জেতেন।
ছেলেদের রিকার্ভ এককে রোমান সানা ভুটানের কিনলে তাশরিংকে ৭-১ হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন।
রিকার্ভ মেয়েদের এককের ফাইনালে ভুটানের সোনাম দেমাকে ৭-৩ সেট পয়েন্টে হারিয়ে সোনা জেতেন ইতি খাতুন। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার কুমারাকে ১৪৫-১৩৫ স্কোরে হারিয়ে দেশের হয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন অসিম কুমার।
অন্যদিকে আজ সোমবার ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে সাত উইকেটের হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দল (অনূর্ধ্ব-২৩)।
এর আগে বাংলাদেশের আরচারিতে ছেলেদের রিকার্ভ, মেয়েদের রিকার্ভ, মিশ্র রিকার্ভ, দলগত ছেলে, দলগত মেয়ে ও মিশ্র দলগত ইভেন্টে একই ভেন্যুতে ছয়টি স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ।
এ ছাড়া বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথম স্বর্ণ জিতে।
নেপালে চলমান এসএ গেমসের সপ্তম দিনে ভারোত্তোলনে দুটি ও ফেন্সিংয়ে একটিসহ মোট তিনটি স্বর্ণ জেতে বাংলাদেশ।
পোখরায় ভারোত্তোলনে মাবিয়া আক্তার ও জিয়ারুল ইসলাম দুটি স্বর্ণপদক পান। গেমসে প্রথমবার যুক্ত হওয়া ফেন্সিংয়ে দেশের হয়ে সপ্তম স্বর্ণপদকটি এনে দেন ফাতেমা মুজিব।
কারাতের কুমি ইভেন্টে তিনটি স্বর্ণপদক এনে দেন আল আমিন, মারজানা আক্তার পিয়া ও হুমায়রা আক্তার।
এই গেমসে তায়কোয়ান্দো থেকে প্রথম স্বর্ণপদক পায় বাংলাদেশ। গত সোমবার তায়কোয়ান্দোর পুমসে সেরা হয়ে দিপু চাকমা এনে দেন এই সাফল্য।