সৈকতের বলে ছয় ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছেন রোহিত!
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা মাত্র একটি ছক্কা মেরেছেন। অথচ ভারতীয় ইনিংসে রোহিত শর্মা একাই হাঁকিয়েছেন ছয়টি ছক্কা। স্বাগতিক অধিনায়কের ৪৩ বলে ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেছে বাংলাদেশ। হেরেছিল আট উইকেটের বড় ব্যবধানে।
সে ম্যাচে বাংলাদেশি বোলার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ওভারে পরপর তিন বলে তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন রোহিত। ‘হিটম্যান’ খ্যাতি পাওয়া এই ব্যাটসম্যান নাকি সেই ওভারে ছয়টি ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন। তখন সৈকতকে কিছু একটা বলে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সেই পরামর্শে পরের তিন বলে রক্ষা পান এই বাংলাদেশি বোলার।
বিসিসিআইয়ের অনলাইন টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে রোহিত বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী-আমি ওই ওভারটিতে ছয়টি ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যখন চতুর্থ বল মিস হয়ে যায়, তখন সিঙ্গেলস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। জানতাম ওভারটিতে অফস্পিনার বোলিং করতে আসছে এবং ওই সময় শিশিরে ভেজা বল বেশি ঘুরবে না। সেজন্য ঠিক করি জায়গায় দাঁড়িয়েই ব্যাট চালাব। আর সেটাই করেছি।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার রেকর্ড রয়েছে যুবরাজ সিংয়ের। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ড ব্রডের ওভারে টানা ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে একই রেকর্ড রয়েছে হার্শেল গিবসের। সেই চেষ্টাটা রোহিত করেছিলেন, কিন্তু তিনি পারেননি। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় দলের ভারপ্রাস্ত অধিনায়ক বলেন, ‘ছক্কা মারার জন্য খুব বেশি শক্তির প্রয়োজন নেই। টাইমিংটা খুব জরুরি। ব্যাটিংয়ের সময় মাথা স্থির রাখতে হবে, শরীরটাকে ভালো পজিশনে আনতে হবে—আর বল ব্যাটের মিডলে লাগাতে হবে। তাহলেই ছক্কা মারা সম্ভব হবে। ভালো ব্যাটিং উইকেটে এর চেয়ে বেশি কিছুর প্রয়োজন পড়ে না।’ রাজকোটের উইকেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম রাজকোটের উইকেট ব্যাটিং সহায়কই হয়ে থাকে। টস জেতায় সুবিধা হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের কারণে বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জ নেওয়াটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আমরা সেই সুবিধাটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছিলাম।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচে সাত উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে আট উইকেটের জয়ে সমতায় ফিরেছে ভারত। দলকে সমতায় ফেরাতে পেরে স্বস্তিতে ভারতীয় অধিনায়ক, ‘প্রথম ম্যাচে ওভাবে আউট হওয়ার পর একটু হতাশ হয়েছিলাম। আসলে কোনো দলের জন্য কোনো একজনের বড় ইনিংস খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেখেছি কোনো দলের কেউ যদি বড় ইনিংস খেলতে পারে, তাহলে তাদের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমার লক্ষ্যও ছিল তেমন। দিল্লিতে হয়নি, রাজকোটে এসে সেটা পেরেছি। সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। আশা করছি নাগপুরে রোববার এমনই পারফর্ম করে দলকে ট্রফি এনে দিতে পারব।’