সাফল্যের কারণ জানালেন নাঈম
ঘাসের উইকেটে সুবিধাটা ছিল পেসারদের জন্য। স্পিনারদের জন্য ছিল কঠিন। অথচ সেই কঠিন উইকেটেই দাপট দেখালেন স্পিনার নাঈম হাসান। জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধ ভাঙতে যখন ব্যর্থ ছিলেন এবাদতরা, তখন বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন তরুণ স্পিনার নাঈম।
লম্বা সময় বোলিং করলেন, সেই সঙ্গে পেলেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট। ম্যাচ শেষে জানালেন, বল হাতে নিজের সাফল্যের কথা। মূলত ঘরোয়া লিগগুলো থেকেই লম্বা স্পেলে বোলিং করার আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন তরুণ এই বোলার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কার্যকারী বোলার নাঈম। কদিন আগেও বিসিএলে দুই ম্যাচে নিয়েছেন ২১ উইকেট। এক ম্যাচে নিয়েছেন ১৩ উইকেট, এর মধ্যে এক ইনিংসেই আটটি। তাছাড়া বোলিংও করেছেন লম্বা সময় ধরে।
সেই ধারাবাহিকতা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ম্যাচে ধরে রেখেছেন নাঈম। আজ শনিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশের চার বোলার মিলে করেছেন ৯০ রান। যার মধ্যে নাঈমই করেছেন ৩৬ ওভার। এত লম্বা সময় বোলিং করেও রান বেশি দেননি নাঈম। বিনিময়ে নিয়েছেন চারটি উইকেট। তাতে প্রথম দিন স্বস্তি নিয়ে শেষ করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিন শেষে নিজের বোলিং সাফল্য নিয়ে নাঈম বলেন, ‘ স্পিনারদের জন্য উইকেট কঠিন ছিল। তবুও আমি চেষ্টা করেছি সঠিক জায়গায় বোলিং করার। চেষ্টা করেছি রানের গতি ধরে রাখার। একটা নির্দিষ্ট জায়গায় অনেকক্ষণ বোলিং করার। এই লম্বা সময় বোলিং করার অভ্যাসটা আমার ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে হয়েছে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে আমি লম্বা সময় ধরে বোলিং করেছি। সেখান থেকেই অভ্যাস হয়েছে। বিসিএলেও অনেক বোলিং করেছি। মূল আত্মবিশ্বাস ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই পেয়েছি। এত সময় বোলিং করার সুযোগ পেয়েছি। এখন আমি যখনই সুযোগ পাই পারি চেষ্টা করি লম্বা স্পেলে বোলিং করতে। এই জন্য হয়ত সফল।’
আগামীকাল রোববার দ্বিতীয় দিনের লক্ষ্য নিয়ে নাঈম বলেন, ‘আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। আশা করি, কাল চেষ্টা থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের অলআউট করা। আজ দিন শেষে উইকেট দরকার ছিল। ওর (ক্রেইগ আরভিন) উইকেট পাওয়ার পর এখন শুধু শেষের দিকের খেলোয়াড়। ওকে আউট করার অবশ্য বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবে ভিডিও এনালিস্টরা যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন সেভাবে করেছি।’
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। আগে ব্যাট করার সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগায় সফরকারীরা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন দলটির অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। তুলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। কিন্তু তাতেও তিনশ ছাড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। শেষ বিকেলে চমক দেখান তরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসান। ফেরান সেঞ্চুরিয়ান আরভিনকে। ফলে শেষ পর্যন্ত স্বস্তি নিয়ে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
প্রথমদিন শেষে ছয় উইকেটে ২২৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। দিন শেষে ০ রানে উইকেটে ছিলেন ট্রিপিয়ানো ও ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন চাকভা। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে আগামীকাল রোববার দ্বিতীয় দিন শুরু করবে জিম্বাবুয়ে।