সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে সালাউদ্দিনের যে অভিযোগ
খেলাধুলার প্রচার-প্রসারে সংবাদমাধ্যমের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে, সেটা যে কেউ স্বীকার করেন। অথচ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বিভিন্ন অজুহাতে সংবাদমাধ্যমকে দায়ী করে থাকেন। সংবাদমাধ্যম নাকি শুধুই সাবেক খেলোয়াড়দের ফোকাস করে, তরুণ প্রজন্মের ফুটবলারদের প্রতি খুব একটা নজর দেয় না।
গতকাল রোববার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আপনারা সব সময় পুরোনো খেলোয়াড়দের নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের দিকে ফোকাস দেন। টক শোতে শুধু সাবেকদের ডাকেন। কিন্তু আমাদের নতুন ছেলেদের ডাকেন না। আপনারা ২৫ বছর আগের খেলোয়াড়দের সারাক্ষণ ফোকাসে রাখেন, কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়দের রাখেন না। আমি আশা করব, আপনারা এখনকার ফুটবলারদের সাপোর্ট করবেন।’
এর আগে এনটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাফুফে সভাপতি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবল দর্শকের কাছে আমার একমাত্র চাওয়া, আপনারা টক শো দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন না। সংবাদমাধ্যমের খবর দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন না, নিজের চোখে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।’
আগামী ৩ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৬ জন।
সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন এবং সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক লড়বেন।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিপক্ষে প্রার্থী হয়েছেন শেখ মোহাম্মদ আসলাম।
সহসভাপতি পদে আগের কমিটি থেকে সালাউদ্দিনের প্যানেলে শুধু কাজী নাবিল আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই পদে আরো প্রার্থী হয়েছেন আমিরুল ইসলাম বাবু, বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান ও তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক।
বর্তমান সহসভাপতি তাবিথ আউয়াল আগের মতোই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একই পদে নির্বাচন করছেন।
সহসভাপতি পদে আরো প্রার্থী হয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান ও এস এম আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ। আর কার্যনিবাহী সদস্যের জন্য ১৫ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৩৬ জন। ১৩৯ জন ডেলিগেট।