শিরোপা জিততে মুশফিকদের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
ধীর গতিতে শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। তবে স্রোতের বিপরীতে ছিলেন ইরফান শুক্কুর। মাত্র ৩৫ বলে খেললেন ৫২ রানের ইনিংস। আর শেষের দিকে দলকে টানলেন আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। দুই বিদেশি তারকার দারুণ ফিনিশিংয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে খুলনা টাইগার্সকে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল রাজশাহী রয়্যালস।
আজ শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৭০ রান করে রাজশাহী রয়্যালস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছেন ইরফান শুক্কুর।
অবশ্য টস জিতে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান খুলনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রাজশাহী। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হারায় ওপেনার আফিফ হোসেনকে। ১৪ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
আফিফ ফিরলে রানের গতি বাড়াতে পারেননি ডানহাতি ওপেনার লিটন দাস। তবে তিনে ব্যাট করতে নামা ইরফান শুক্কুর দারুণভাবে টেনেছে দলকে। পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান করে রাজশাহী।
ইনিংসের দশম ওভারে লিটনকে হারায় রাজশাহী। ধীর গতিতে খেলা লিটন ২৮ বল খেলে করেন মাত্র ২৫ রান। ছন্দে থাকা শোয়েব মালিকও টিকতে পারেননি। ১৩ বল মোকাবিলা করে ৯ রান করে ফেরেন তিনি। এর মধ্যে ৩০ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন শুক্কুর। তবে হাফসেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৩৫ বলে ৫২ রান করলে তাঁকে ফেরান মোহাম্মদ আমির। দলীয় ৯৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় রাজশাহী।
এরপর নেওয়াজের সঙ্গে জুটি বাধেন আগের ম্যাচে ঝড় তোলার আন্দ্রে রাসেল। তবে এদিন বেশি আক্রমনাত্মক হতে পারেননি রাজশাহী অধিনায়ক। বরং ঝড় তুলেছেন নেওয়াজ। মাত্র ২০ বলে ৪১ রান করেন তিনি। তাতে নির্ধারিত ওভারে ১৭০ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। ১৬ বলে ২৭ রান করেছেন রাসেল।
খুলনার হয়ে বল হাতে ৩৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির। একটি করে নেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক ও শহিদুল ইসলাম।
রাজশাহী রয়্যালস : ২০ ওভারে ১৭০/৪ ( লিটন ২৫, আফিফ ১০, শুক্কুর ৫২, মালিক ৯, রাসেল ২৭, নেওয়াজ ৪১ ; আমির ৪-০-৩৫-২, ফ্রাইলিঙ্ক ৪-০-৩৩-১, তানভীর ১-০-১১-০, শফিউল ৪-০-৩৮-০ মিরাজ ৩-০-২৭-০, শহীদুল ৪-০-২৩-১)।