শেষ দুই বলে রোহিত শর্মার দারুণ দুটি ছক্কা। আর এই জোড়া ছক্কাতে ভর করে সুপার ওভারে নাটকীয়ভাবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতল ভারত । প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৭৯। নিউজিল্যান্ডও নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৯ রানে থামে।

তাই ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। নিউজিল্যান্ড শুরুতে ব্যাট করে ১৮ তুলেছিল। আর রোহিত শর্মা একাই টিম সাউদিকে জোড়া ছক্কা হাকিয়ে দলকে জয় এনে দেন।

সুপার ওভারের প্রথম চার বলে ভারতের স্কোরবোর্ডে আট রান জমা হয়। তবে সাউদির শেষ দুই বলে দুটি ছক্কা হাকান রোহিত। এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৬৫ করার পাশাপাশি শেষ ওভারে চার বলে ১৫ করেন হিটম্যান খ্যাত এই ব্যাটসম্যান।

অবশ্য শুরুতে ব্যাট করে রোহিত বাদে কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যানই খুব একটা ভালো করতে পারেননি। ওপেনিং জুটিতে লোকেশ রাহুল-রোহিত শর্মা জুটি চেনা মেজাজে রান তুলছিলেন স্কোরবোর্ডে। ওপেনিং জুটি ভাঙন ধরান কলিন গ্র্যান্ডহোম। কলিন মুনরোর হাতে ক্যাচ তুলে রাহুল বিদায় নেন ১৯ বলে ২৭ রান করে। এর পরই ভারতের রান তোলার গতি কিছুটা শ্লথ হয়।

তিন নম্বরে শিবম দুবে ব্যাট করতে নেমে সাত বলে তিন রান করে আউট হয়ে যান। তাঁর আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন রোহিতও। ১০ রানের মধ্যে পরপর তিন উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে ৪৬ রানের ছোট ঝুটি কোহলির দলকে বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করে।

তবে শেষ দিকে দুই ওভারের ব্যবধানে ফিরে যান কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার (১৭)।  মণীষ পাণ্ডে (১৪) ও রবীন্দ্র জাদেজা (১০) শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে একা টানেন কেন উইলিয়ামসন। দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। তবে মাত্র দুই রান বাকি থাকতেই উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ শামি। সেখান থেকেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের।

শেষ তিন বলে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দুই রান তুলতে পারেননি রস টেলররা। ১৭৯ রানেই থেমে গিয়েছিল কিউয়িদের ইনিংস। এর পরই রুদ্ধশ্বাস সুপার ওভার। সেই ওভারে বুমরাহর ছয় বলে কেন উইলিয়ামসন জোড়া ছক্কাসহ একটি বাউন্ডারিতে স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ১৮ রান। তবে রোহিতের কাছে হেরে যায় তারা।