যুক্তরাষ্ট্রে আইসোলেশনে সাকিব
সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ক্রীড়াঙ্গনেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। স্থগিত হয়ে গেছে বিশ্বের প্রায় সব টুর্নামেন্ট। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বাংলাদেশের ক্রিকেটও। এই পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন সাকিব আল হাসান। তবে সেখানে গিয়ে তিনি স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে আছেন।
গতকাল শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন সাকিব। সেখানে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দর থেকে সরাসরি একটি হোটেলে উঠেছেন তিনি। স্বেচ্ছায় নিজেকে আলাদা রেখেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে সাকিবের পরিবার থাকে। কিন্তু নিজেকে আলাদা রাখার কারণে স্ত্রী ও মেয়ে থেকে দূরে আছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।
ভিডিওতে সাকিব বলেন, ‘আমি মাত্রই যুক্তরাষ্ট্র এসে পৌঁছলাম। যদিও প্লেনে সব সময় একটা ভয় কাজ করেছে। তার পরও চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন থাকা যায়, নিজেকে কীভাবে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে এসে আমি সোজা একটি হোটেল রুমে উঠেছি। ওদেরকে (পরিবারকে) আমি অবগত করেছি যে এখানে থাকব কিছুদিন। যেহেতু বিমানে করে এসেছি, একটু হলেও ঝুঁকি আছে। তাই আমি নিজেকে আইসোলেটেড করে রেখেছি। আমার বাচ্চার সঙ্গেও দেখা করিনি। যদিও এটা আমার জন্য কষ্টের। তার পরও মনে হয়েছে, সামান্য এই ত্যাগটুকু করতে পারলে অনেক দূর এগোতে পারব।’
প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করেছেন সাকিব, ‘যদি কেউ বিদেশ থেকে ফিরে থাকেন, তাহলে অবশ্যই নিজেকে ঘরে রাখতে হবে। আত্মীয়স্বজন ও বাইরের মানুষ যেন আপনার সঙ্গে এসে দেখা করতে না পারে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, যা খুবই জরুরি। যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের সবারই ছুটি কম থাকে। তাঁরা চান আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে, ঘোরাফেরা করতে, আড্ডা দিতে কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে একত্রিত হতে। যেহেতু সময় আমাদের অনুকূলে নয়, আমি সবাইকে অনুরোধ করব নিয়মগুলো মেনে চলতে। সামান্য এই ত্যাগ পারে আমাদের পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখতে, সুস্থ রাখতে, নিজেদেরও সুস্থ রাখতে। আশা করি, সবাই কথাগুলো শুনবেন এবং মেনে চলার চেষ্টা করবে।’
সাকিব আরো বলেন, ‘সতর্কতাই পারে আমাদের সুস্থ রাখতে, দেশকে সুস্থ রাখতে। কিছু সাধারণ পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে আমাদের। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় শিষ্টাচার মেনে চলা, এসব। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব দিকনির্দেশনা দিয়েছে, এগুলো জেনে মেনে চলার চেষ্টা করবেন।’
সেইসঙ্গে খাবার মজুদ না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন দেশের সবচেয়ে বড় তারকা। তিনি বলেন, ‘আমি খবরে দেখেছি, অনেকে তিন-চার বা ছয় মাস পর্যন্ত খাবার সংগ্রহ করছেন। আমার ধারণা, খাবারের ঘাটতি আমাদের কখনোই হবে না, ইনশাআল্লাহ। আমরা কেউই না খেয়ে মারা যাব না। সবাই ভালো থাকবেন, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হবেন না।’