যা পারেননি মুশফিক-মুমিনুল, তা করে দেখালেন আগারওয়াল
ইন্দোর টেস্টে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ক্যাচ ফেলার খেসারত দিল বাংলাদেশ। এই ভারতীয় ওপেনার একাই ২৪৩ রান করে নিজের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস খেলে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
টেস্ট ক্রিকেটে আগারওয়ালের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি এটি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই ব্যাটসম্যান করেছিলেন ২১৫ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংসটি আটটি ছক্কা ও ২৮টি চারে সাজান আগারওয়াল। তাঁর ইনিংসটি ৩২ রানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু ইমরুল কায়েস সহজ ক্যাচ ফেলে দিলে জীবন পান আগারওয়াল।
অবশ্য বাংলাদেশের মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহও জীবন পেয়ে তাঁদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। আগারওয়াল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের দেখিয়ে দিলেন কীভাবে ব্যাট করতে হয়।
এদিকে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান। বাংলাদেশের চেয়ে ৩৪৩ রানে এগিয়ে রয়েছে ভারত। ভারতের ছয়জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে চারজনকেই আউট করেন পেসার আবু জায়েদ রাহি। একটি করে উইকেট পান মিরাজ ও এবাদত হোসেন।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো টেস্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুটা রাঙিয়ে রাখার মতো হয়নি। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা এবং ভুলে ভরা ছিল টাইগারদের প্রথম ইনিংস। একের পর এক ভুল শটে যেন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন ব্যাটসম্যানরা। একাধিকবার জীবন পেয়েও নিজের ইনিংসকে লম্বা করতে পারেননি কেউ কেউ।
এর আগে প্রথম ইনিংসে মুমিনুলরা গুটিয়ে যান মাত্র ১৫০ রানে। খেলতে পেরেছেন মাত্র ৫৮.৩ ওভার। জবাব দিতে নেমে প্রথম দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৮৬ রান। শুরুতেই রোহিত শর্মার (৬) উইকেটটি তুলে নেন আবু জায়েদ রাহি। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৩৭ এবং চেতেশ্বর পূজারা ৪৩ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেন।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ বরাবরই কঠিন। সেটা যদি হয় তাদের নিজেদের দেশে। কিছুদিন আগেও দক্ষিণ আফ্রিকা হোয়াইটওয়াশ হয়েছে।