ম্যাচ শেষের ঘটনায় বাংলাদেশ অধিনায়কের দুঃখ প্রকাশ
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ২৪ বলে এক রান দরকার বাংলাদেশের। মিড উইকেটে বল ঠেলে দিয়েই এক রান নিতে রাকিবুল হাসানের ভোঁ দৌড়। দেশের পতাকা হাতে ড্রেসিং রুম থেকে বাকিদেরও মাঠে দৌড়ে আসা। একদিকে বাংলাদেশ দলের উল্লাস, অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভেঙে পড়া।
ঠিক তখনই ঘটে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দুদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে তৈরি হয় হাতাহাতির পরিস্থিতি। পরে অবশ্য ঝামেলা মিটে যায়। ম্যাচ শেষে বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী। বাড়তি আবেগের কারণেই এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তবে অধিনায়কের পরামর্শ, ছেলেরা যেন সবসময় প্রতিপক্ষ দলকে শ্রদ্ধা করে।
গতকাল রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ভারতকে বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রথমে বাংলাদেশের বোলাররা স্লেজিং করেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নামলে ভারতীয় বোলাররাও পাল্টা স্লেজিং করে। বাউন্সার বৃষ্টি তো ছিলই, বিমারও বেরিয়েছে ভারতীয় পেসারদের হাত থেকে।
এদিকে ম্যাচ শেষের ঘটনাটি নিয়ে ভারতীয়দের অভিযোগ, জেতার পর তাদের ঘিরে গালিগালাজ করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। একপর্যায়ে দুদলের একাধিক ক্রিকেটার একে অন্যের দিকে তেড়েও যায়।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সংবাদমাধ্যমেও। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশকে জেতানো অধিনায়ক আকবর বলেন, ‘আমি বলব, যা হয়েছে, তা হওয়া কখনোই কাম্য ছিল না। যদিও কী হয়েছে, পুরোটা আমি দেখিনি। তবে আপনি জানেন, ফাইনালে অনেক সময় আবেগ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, ক্রিকেটে বাংলাদেশ-ভারত এখন বড় দ্বৈরথ। কিছু ক্রিকেটার হয়তো আবেগ ধরে রাখতে পারেনি। আমি বলব, কোনো পরিস্থিতিতেই এমন কিছু হওয়া উচিত নয়। প্রতিপক্ষকে আমাদের সম্মান করা উচিত, খেলাটাকেও সম্মান করা উচিত। কারণ ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। আমি আমার দলের হয়ে দুঃখপ্রকাশ করছি।’
এ ছাড়া অধিনায়ক সাফল্যের রহস্য জানিয়ে বলেন, “আমি এমন একজন মানুষ, যে সবকিছুই সহজভাবে নেয়। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে ব্যাট করার খুব একটা সুযোগ পাইনি। সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। ব্যাটিংয়ে যখন নামি, একটা জুটির প্রয়োজন ছিল। আমার সঙ্গীকে বলেছিলাম, ‘আমাদের একটা জুটি গড়তে হবে, উইকেট হারানো যাবে না’। সহজ পরিকল্পনা ছিল। তাতে সফল হয়েছি।”
যুব বিশ্বকাপে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ভারত। ১৩ বারের বিশ্বকাপে সাতবারই ফাইনাল খেলা দলটি যে বাংলাদেশকে ছাড় দেবে না, সেটা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন আকবর নিজেও, ‘আমরা জানতাম, ভারত এত সহজে ছেড়ে দেবে না। তারা খুবই চ্যালেঞ্জিং দল। রান কম হলেও আমরা জানতাম তাড়া করা কঠিন হবে।’