মুশফিকের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর জয়, বিকেএসপিতে হারল রূপগঞ্জ
করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই আজ রোববার মাঠে গড়িয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। এ আসর থেকে যার নতুন নাম ‘বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ’। আসরের প্রথম দিন মিরপুরে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৮১ রানে হারিয়েছে আবাহনী লিমেটেড। দলের জয়ের দিনে সেঞ্চুরি করেছেন প্রথমবার আবাহনীতে নাম লেখানো মুশফিকুর রহিম।
১৫ বছরের ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম আবাহনীর হয়ে খেলছেন মুশফিক। প্রিমিয়ার লিগের তারকাবহুল দলটিকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন তিনি। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ রোববার আবাহনীতে অভিষেক হয়ে গেল তাঁর। নতুন দলে অভিষেকের দিনেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। দলের বিপর্যয়ে সেঞ্চুরিসহ ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকছিল আবাহনী লিমিটেড। ইনিংসের শুরুতেই আউট হয়ে যান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাস। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যর্থ হন। মাত্র ২৭ রান তুলেই তিন উইকেট হারায় দলটি।
কঠিন সময়ে হাল ধরেন মুশফিক। উইকেটে থিতু হয়ে ১১১ বলে কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এবারের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম সেঞ্চুরি এটি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে মুশফিকের দ্বাদশ সেঞ্চুরি এটি।
সেঞ্চুরির পর শেষ পর্যন্ত ১১ চার ও চার ছক্কায় ১২৪ বলে ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন আবাহনীর নতুন অধিনায়ক। তাতে নির্ধারিত ওভারে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ২৯০ রানের লক্ষ্য দেয় আবাহনী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০৮ রানে গুটিয়ে যায় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব।
দিনের অন্য ম্যাচে সাভারের বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ওল্ড দোহা স্পোর্টস ক্লাবের কাছে ২৫ রানে হেরেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আগে ব্যাট করতে নেমে ২৩০ রান সংগ্রহ করে ওল্ড দোহা স্পোর্টস ক্লাব। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০৫ রানে থামে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
আর ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে আট রানে জয় পেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। দোলেশ্বরের জয়ের দিনে সেঞ্চুরি করেন তাইবুর রহমান। ৯৪ বলে ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি।
করোনা আতঙ্কের মাঝে যখন বিশ্বের সব ক্রীড়া ইভেন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখনই শুরু হলো ডিপিএল। তাই তো ম্যাচ শুরুর একদিন আগেও আলোচনায় ছিল করোনাভাইরাস নিয়ে।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গতকাল শনিবার বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজই বন্ধ হয়ে গেছে। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টও আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই যখন বন্ধ করছে, তখন এই ইস্যু তো সবার জন্য, শুধু আমাদের ব্যাপার নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা আবার অনেক জায়গায় চলছে। এটা কিন্তু বাইরেও চলছে, আপনারাও দেখেছেন। সব জায়গায় হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট। মূল সমস্যা হলো, দর্শক এবং খেলোয়াড়দের। আমাদের এখানে ঘরোয়া ক্রিকেটে তো দর্শক থাকেই না তেমন। এরপরও ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে যদি কখনো আমাদের মনে হয়, সরকার থেকে কোনো বাধা আসে কিংবা অন্য কোথাও থেকে, তাহলে আমরা সেভাবে সিদ্ধান্ত নেব।’