ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ হারল বাংলাদেশ
আগের ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তি। চেনা উইকেটে বাজে ব্যাটিং। কোনো কিছুতেই পরিবর্তন নেই। বরাবরের মতো ব্যাটিং ব্যর্থতা পাকিস্তানের কাছে নয় উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। শুধু ম্যাচে নয়, এই হারে মাধ্যমে তিন সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতে ২-০ তে হেরে গেল বাংলাদেশ।
আগামী ২৭ জানুয়ারি সিরিজের শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে সফরকারী বাংলাদেশ।
আজ শনিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সফরকারীরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হারায় ওপেনার নাঈমকে। আগের ম্যাচে লম্বা সময় ধরে টিকে থাকা নাঈম আজ ফেরেন গোল্ডেন ডাকে।
তিন ব্যাট করতে নামা মেহেদী হাসানও ফেরার ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারলেন না। দুই বছর পর জাতীয় দলে ফেরা মেহেদী নয় রানে ফিরলেন সাজঘরে। ২০১৮ সালে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয় মেহেদীর। কিন্তু সেই ম্যাচে ব্যর্থতার পর জাতীয় দলের হয়ে আর খেলা হয়নি। অবশেষে ফিরলেন জাতীয় দলে কিন্তু ফেরাটা রঙিন হলো না।
মেহেদীর পর উইকেটে থিতু হতে পারেননি লিটন দাসও। বিপিএলে ফর্মে থাকা লিটন দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন। এলবির ফাঁদে ফেলে তাঁকে সাজঘরে পাঠান শাদাব খান।
মাত্র ৪১ রানে তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে হাল ধরেন তামিম-আফিফ। এই জুটিতে ৪৫ রান তোলে বাংলাদেশ। ১৫তম ওভারে আফিফকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হাসনাইন। ২০ বলে ২১ রানে ফেরেন আফিফ।
দ্রুত উইকেট হারানোর পাশাপাশি রানের গতিও বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৮ ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন তামিম। এক প্রান্ত আগলে রেখে ৪৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে শেষের দিকে যখন হাতখুলে খেলা শুরু করেন তখন রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তামিমকে। ফেরার আগে ৫৩ বলে ৬৫ রান করেন বাংলাদেশি ওপেনার। তামিম ফিরলে শেষ পর্যন্ত ১৩৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। শূন্য রানে আহসান আলীকে ফিরিয়ে দেন শফিউল। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি স্বাগতিকদের। দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে দারুণ ব্যাট চালান আগের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া বাবর আজম। দুজন মিলে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো ব্যাটিং শেখান। অপ্রতিরোধ্য এই জুটিতে ভর করে ১৬.৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে ৪৪ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন বাবর আজম। ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন হাফিজ।
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৩৬/৬ (তামিম ৬৫, নাঈম ০, মেহেদী ৯, লিটন ৮, আফিফ ২১, মাহমুদউল্লাহ ১২, সৌম্য ৫, আমিনুল ৮; ইমাদ ২-০-১৬-০, আফ্রিদি ৪-০-২২-১, হাসনাইন ৪-০-২০-২, হারিস ৪-০-২৭-১, শাদাব ৩-০-২৮-১, ইফতেখার ১-০-১২-০, মালিক ২-০-৯-০)।
পাকিস্তান : ১৬.৪ ওভারে ১৩৭/১ (বাবর ৬৬, আহসান ০, হাফিজ ৬৭; মেহেদী ৪-০-২৮-০, শফিউল ৩-০-২৭-০, আল-আমিন ৩-০-১৭-০, মুস্তাফিজ ৩-০-২৯-০, আমিনুল ২-০-১৬-০, আফিফ ১-০-১৬-০, মাহমুদউল্লাহ ০.৪-০-৩-০)
ফল : নয় উইকেটে জয়ী পাকিস্তান