ব্যাটসম্যানদের এই ব্যর্থতার কারণ কী?
পাকিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচের হারের পর ব্যর্থতার দায় হিসেবে মন্থর উইকেটকে দাঁড় করান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু আসলেই কি এমন ব্যর্থতার দায় শুধু উইকেটের?
গতকাল শুক্রবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সামনে মাত্র ১৪১ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশ। দায়িত্ব নিতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যান। উইকেটে দীর্ঘ সময় টিকে ছিলেন মোহাম্মদ নাঈম ও তামিম ইকবাল। কিন্তু তাঁরা যে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ব্যাটিং দেখে সেটা মনে হয়নি। ওপেনিংয়ে নেমে ৩৪ বলে ৩৯ রান করেন তামিম। অন্যদিকে ৪১ বল খেলে ৪৩ রান করেন নাঈম। সেই সঙ্গে টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং তো ছিলই। পাওয়ার প্লের ৩৬ বলের মধ্যে ২২টি ডট দেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে কোনো মতে ১৪১ রান তোলে সফরকারীরা। তাতে ফলাফলও ছিল তেমন। পাঁচ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও একই পরিণতি বাংলাদেশের। কাছাকাছি দেশ বলে পাকিস্তানের উইকেট বাংলাদেশের মতোই। মন্থর ও নিচু বাউন্সের। অথচ গতকাল ১৪১ রান করা বাংলাদেশ আজও ব্যর্থ। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে করেছে ১৩৬ রান। কিন্তু চেনা এই উইকেটে এতটা ব্যর্থতা?
ব্যর্থতার কারণ শুধুই উইকেট নয়। ক্রিকেটারদের দায়িত্বশীলতাও বটে। শুরুর দিকে নেমেই ডট বল খেলতে থাকা, ভুল শট খেলে উইকেট বিলিয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে দলে অভিজ্ঞতারও ঘাটতি। দলে নেই নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, সফর থেকে নাম সরিয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। তাঁদের দুজনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররাও পারছেন না সুযোগ কাজে লাগাতে।
অথচ বিপিএলে দুর্দান্ত ছিলেন বাংলাদেশি তারকারা। কদিন আগে শেষ হওয়া টুর্নামেন্টে ব্যাটে-বলে বাংলাদেশি তারকাদেরই জয়জয়কার ছিল। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ছিলেন লিটন দাস, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম, মেহেদী হাসানরা। কিন্তু জাতীয় দলে ফিরতেই পরিস্থিতি পাল্টেছে। বিপিএলে আলো ছড়ানো কেউই পারছেন না ছন্দশীল ব্যাট চালাতে বা দেশের দায়িত্ব নিতে। তাতে ব্যর্থতায় ছেয়ে আছে বাংলাদেশের ব্যাটিং।