ব্যর্থতার দায় খেলোয়াড়দের : প্রধান নির্বাচক
যুবাদের বিশ্বকাপ জয়ে আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা। আজ বুধবার বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরছেন আকবর-শরিফুলরা। কিন্তু যুবাদের ক্রিকেট নিয়ে যখন ক্রিকেটপাড়ায় চরম উত্তেজনা, তখন টানা পরাজয়ের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইনিংস ও ৪৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। টেস্টের ব্যর্থতা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন তামিমরা। জাতীয় দলের এই ব্যর্থতার দায় কেউ কেউ ক্রিকেট বোর্ডকেও দিচ্ছেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন যদিও বিসিবির কোনো দায় দেখছেন না; বরং ব্যর্থতার জন্য খেলোয়াড়দের দিকেই আঙুল তুলছেন প্রধান নির্বাচক।
নানা অনিশ্চয়তার পর পাকিস্তানে তিন ধাপে সফর করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে গিয়ে চরম ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে দুটি খেলে দুটিতেই হার, বাকিটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। সীমিত ওভারের হতাশা ভুলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ধাপে যায় টেস্ট খেলতে, সেখানেও ব্যর্থতা। এবার ইনিংস ব্যবধানে হার নিয়ে দেশে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহরা।
টাইগারদের ব্যর্থতার জন্য যখন চারদিকে চরম সমালোচনা চলছে, তখন প্রধান নির্বাচকও প্রশ্ন তুলছেন ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে। মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘পারফরম্যান্স পুরোপুরি খেলোয়াড়দের ওপর। সুযোগ-সুবিধা যতটুকু দরকার, ওদের দেওয়া হচ্ছে। ক্রিকেটের লম্বা সংস্করণে তো কোনো ঘাটতি নেই। দেশে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছে। যাওয়ার আগেই তো বিসিএলে ম্যাচ খেলেছে এবং সবাই পারফর্ম করে গেছে। এমন নয় যে চার দিনের ম্যাচ খেলেননি, ওখানে গিয়েই পাঁচ দিনের ক্রিকেট নেমে পড়তে হয়েছে।’
অন্তত সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভালো খেলা উচিত ছিল বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক, ‘পারফরম্যান্স কিন্তু সবার আগে। আমাদের অনেক খেলোয়াড়ই অনেক ম্যাচ খেলে ফেলেছে। সবাই পরিপক্ব। তাদের কাছ থেকে বেটার পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করেছিলাম।’
বিদেশের মাটিতে বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা (বিদেশের মাটিতে খেলা) একটা চিন্তার কারণ। বিদেশে আমরা টেস্ট ভালো খেলি না অনেকদিন। আপনি কীভাবে লাল বলের ক্রিকেট খেলবেন, পরিকল্পনা কীভাবে করছেন, কীভাবে এগোচ্ছেন—এটা বড় বিষয়। পাঁচ দিন খেলার মনমানসিকতা না থাকলে এখান থেকে ফিরে আসা কঠিন।’