বেতন কাটার পক্ষে মেসি!
করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। করোনার কবলে বিশ্বের সব টুর্নামেন্ট বন্ধ। কোনোরকম আয় ছাড়াই খেলোয়াড়দের বেতন গুনতে হচ্ছে ফুটবলের ক্লাবগুলোকে। এমন কঠিন সময়ে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার্সেলোনা। তবে তাতে নাকি খেলোয়াড়রা দ্বিমত পোষণ করেছিলেন, দুদিন আগে এমনটাই জানায় স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো।
পরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, বার্সেলোনার কাছ থেকে নিজেদের বেতনের ৭০ শতাংশ কম নেবেন তাঁরা ।
এবার বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তামেউও জানালেন, আগে থেকেই কম বেতন নেওয়ার পক্ষে ছিলেন মেসিরা। বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলোয়াড়দের দ্বিমতের খবর গুঞ্জন বলে জানালেন তিনি।
একটি দৈনিক পত্রিকাকে বার্সা সভাপতি বার্তামেউ বলেন, ‘মেসি কখনই বার্সেলোনার বেতন কাটার সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করেনি। প্রথম দিন থেকেই মেসি আমাকে বলে আসছিল, এই বেতন কমাতে হবে। এই প্রস্তাব এসেছিল অধিনায়কের কাছ থেকে। এটা এমন কিছু, যা ক্লাবের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা ফুটিয়ে তোলে।’
এর আগে গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে মেসি লিখেছেন, ‘আমরা পরিষ্কার করতে চাই যে, প্রাপ্য বেতন কমানোর পক্ষে আমরা বরাবরই ছিলাম। কারণ, আমরা জানি এটা বিশেষ এক পরিস্থিতি। আমরা সব সময়ই ক্লাবকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে প্রথমে ছিলাম, যা তারা আমাদের কাছ থেকে চেয়েছে। অনেক সময়ই আমরা অনেক কিছু স্বেচ্ছায় করছি, যে মুহূর্তে আমাদের মনে হয়েছে এটা করা প্রয়োজন কিংবা জরুরি।’
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক আরো লিখেছেন, ‘আমাদের অবাক করেছে যে, ক্লাবের মধ্য থেকে কিছু মানুষ আমাদের চাপে রাখতে চায় কিংবা চেষ্টা করে চাপ দিতে। কিন্তু আমরা সব সময় পরিষ্কার ছিলাম। এ কদিন আমরা এই কঠিন সময়ে ক্লাব ও কর্মীদের সাহায্য করার একটি প্রক্রিয়া খুঁজছিলাম। আমাদের জন্য যখন ঘোষণা এসেছে যে, দেশের জরুরি মুহূর্তে ৭০ শতাংশ বেতন কাটা হবে, তখন আমরাও অবদান রাখতে চেয়েছি, যাতে করে ক্লাবের কর্মচারীরা এই পরিস্থিতি চলাকালীন শতভাগ বেতন পান।’
বার্সেলোনা ছাড়াও এমন কঠিন মুহূর্তে চার মাসের বেতন নেবেন না জুভেন্টাসের ফুটবলাররা।
করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় কোচ, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জুভেন্টাসও। তুরিনের ক্লাবটির সিদ্ধান্তে সাড়া দিয়েছেন দলের কোচ মাওরিসি ও ফুটবলাররা। ফলে আগামী চার মাস বেতন নেবেন না রোনালদোরা।
নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জুভেন্টাস। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন—এই চার মাসের বেতন নেবেন না রোনালদোরা। এই চার মাসে কোচ ও খেলোয়াড়দের বেতন থেকে কাটা অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯০ মিলিয়ন ইউরো। সেটা দিয়েই করোনার ক্ষতি পূরণ করবে জুভেন্টাস।