বিশ্ব ফুটবলের জন্য এটা চ্যালেঞ্জিং সময় : সাদ উদ্দিন
করোনাভাইরাস আতঙ্কে থমকে আছে পুরো বিশ্ব। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কারণে থেমে গেছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনও। একে একে বন্ধ হয়ে গেছে সব টুর্নামেন্ট। চলছে না ইউরোপ, ইতালি, ফ্রান্স কিংবা ইংলিশ কোনো লিগ। এমন কঠিন অবস্থা নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে কখনো দেখেননি বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার সাদ উদ্দিন।
বিশ্বজুড়ে এমন পরিস্থিতি শুধু একজন খেলোয়াড়ের জন্যই নয়, বরং গোটা ফুটবলের জন্য চ্যালেঞ্জিং সময় বলে মনে করেন সাদ। আজ সোমবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপে এমনটাই বলেন তিনি।
খেলা ছাড়া সময়টা কেমন কাটছে—এমন প্রশ্নের জবাবে সাদ উদ্দিন বলেন, ‘খেলাধুলা ছাড়া এই সময়টা খুবই কষ্টে কাটছে। ম্যাচ তো দূরে, অনুশীলনও ঠিকমতো করতে পারছি না। আসলে এটা একজন খেলোয়াড়ের জন্য চ্যালেঞ্জিং সময়। আমার ক্যারিয়ারে আমি এমন সময় দেখিনি। শুধু আমার জন্য নয়, বিশ্ব ফুটবল অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। সব টুর্নামেন্ট বন্ধ। এটা মানা খুবই কষ্টকর। এমন পরিস্থিতি ফুটবল কেন, সব খেলাধুলার জন্য চরম হতাশার।’
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিজস্ব কোনো জিমনেশিয়াম নেই। ফিটনেস নিয়ে ফুটবলাররা নিজে থেকেই কাজ করতে বাধ্য হন। এর মধ্যেও যাঁরা ফিটনেস নিয়ে বাড়তি কাজ করে নজর কেড়েছেন, তাঁদেরই একজন এই সাদ উদ্দিন। কিন্তু বর্তমানে সেটা আর হচ্ছে না। বাড়িতে থাকায় ফিটনেস নিয়েও ঠিকঠাক কাজ হচ্ছে না সাদ উদ্দিনের।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ফিটনেস নিয়ে এখন তেমন কোনো কাজ করতে পারছি না। বাড়িতে তেমন অনুশীলন করার সুযোগ নেই। তবে চেষ্টা করছি কীভাবে ফিট থাকা যায়। আমাদের বাড়ির কাছে একটা মাঠ আছে, সেখানেই রানিংসহ বিভিন্ন অনুশীলন করার চেষ্টা করি। কিন্তু সঠিকভাবে হচ্ছে না সব।’
ঘরবন্দি সাদ বলেন, ‘একদিক চিন্তা করলে সময়টা শুধু পরিবারের সঙ্গে কাটছে। সাধারণত আমরা এত লম্বা সময় ছুটি পাই না। তো, এবার সেটা পেয়েছি। পরিবারকে সময় দিতে পারছি। তবে বাইরে বের হতে পারছি না। যদিও তেমন বন্ধুবান্ধব নেই। সিলেটে এলেও একাই থাকা হয়। অনেকটা ঘরবন্দি আমি।’
তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সিলেটের নিজ এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিক আছে বলেই জানান সাদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সিলেটে সবার মাঝে তেমন কোনো ভয় দেখছি না। সবার জীবন স্বাভাবিকই আছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো খারাপ খবর শুনিনি। তবে আগে থেকে রাস্তাঘাটে মানুষ কম বের হচ্ছে।’
এই মহামারি মোকাবিলায় সবার উদ্দেশে সাদ উদ্দিন বলেন, ‘আমি বলব, যত দিন না এই মহামারি না যাচ্ছে, তত দিন আমরা যেন নিজেরা সচেতন থাকি। মনে রাখতে হবে, আমাদের একটু সচেতনতাই পারে আমাদের দেশটা ভালো রাখতে। তাই যতটা সম্ভব ঘরে থাকতে হবে। সবার কথা ভেবে হলেও আমরা যেন ঘরে থাকি। বেশি বেশি হাত পরিষ্কার করব। আর হাঁচি-কাশি দেওয়ার যে শিষ্টাচার, সেসব মেনে চলব। ’