বিশ্ব গণমাধ্যমে বাংলাদেশি যুবাদের বিশ্বজয়ের খবর
সমীহ, প্রশংসা কি আর এমনি এমনি পাওয়া যায়? না, অর্জন করে নিতে হয়। প্রথমবারের মত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতে আকবর, শরিফুল, ইমনরা দেশের গণ্ডি ছাপিয়ে মন কেড়ে নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের তারকাদের। বিশ্বজয়ে প্রশংসায় ভাসছে এখন বাংলাদেশের যুবারা। অধিনায়ক আকবর আলীর দাঁতে দাঁত চেপে টেলএন্ডারদের নিয়ে করা লড়াই শেষে জয় টিভি পর্দায় মিস করেননি মুশফিক, সাকিব, মিরাজরাও। তাঁরা কেউ দেশকে এমন জয় উপহার দিতে পারেননি।
আকবর, তৌহিদ রিদয়, আর এই প্রজন্মের তামিম, সাকিবদের হাত ধরে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব মঞ্চায়নের জন্য শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে ভাসিয়েছেন মাশরাফি, সাকিব, মুশফিকরা। পাকিস্তানে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে খুব বাজে সময়ের মধ্যে তামিম, মাহমুদুল্লাহদের দুদণ্ড প্রশান্তি দিয়েছে বাংলাদেশের যুবাদের ইতিহাস গড়া এক জয়।
ক্রিকেট মহলের এই গণ্ডি ছাপিয়ে অনেক সাবেক তারকা ক্রিকেটারই বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে প্রশংসার সঙ্গে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভবিষ্যত তারকাদেরদের। ভারতের হরভজন সিং, ইরফান পাঠান, পাকিস্তানের আজহার মেহমুদ, ধারভাষ্যকার হার্শা ভোগলে, দক্ষিণ আফ্রিকার জেপি ডুমিনি, অস্ট্রেলিয়ার টম মুডির মতো কোচও আছেন সে তালিকায়। টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাও দেরি করেননি টুইট করতে।
লো স্কোরিং ম্যাচে লড়াই, উত্তাপ ও রোমাঞ্চের সবটাই ছিল। ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্পই তুলে ধরা হয়েছে।
‘এই সময়’ শিরোনাম করেছে ‘ইতিহাস লিখলেন ১১ বাঙালি, ভারতকে হারিয়ে বিশ্বজয়ী বাংলাদেশ’। আনন্দবাজারের শিরোনাম, ‘কাজে এলো না বিষ্ণোয়ের স্পেল, ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ’। ফলাও করে খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু ও এনডিটিভি অনলাইনসহ প্রায় সব ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম।
ভারতের মতো পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমেও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের খবর বড় করে প্রকাশ পেলেও, খেলা শেষ হওয়ার দশ ঘণ্টা অতিক্রম করার পরও ব্রিটিশ মিডিয়ায় একমাত্র বিবিসিতে এই সংবাদ দেখা গেছে। সান, টেলিগ্রাফ, মিরর কিংবা অস্ট্রেলিয়ার দ্য হেরাল্ড সান, দি অস্ট্রেলিয়ানের মতো পত্রিকা এই বিষয়ে কোনো নিউজই দেয়নি। যদিও এই বিশ্বকাপে তাদের দলগুলো খেলেছিল।
অভিনন্দন, প্রশংসা এতো শুধু অনুপ্রেরণা মাত্র। বিশ্বজয় করলেও আকবরদের ক্রিকেটে আসল পথ চলা শুরু হল এবার।