‘বাংলাদেশ দলে বিকল্প পেতে এক ঘণ্টা লাগে না’
মুশফিকুর রহিম যে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না, সেটা আগে থেকেই জানা। তবুও কাল শুক্রবার মুশফিক নিজেই জানালেন, নিরাপত্তা নিয়ে পরিবার শঙ্কিত থাকায় পাকিস্তান যাচ্ছেন না তিনি।
তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মুশফিক। সেইসঙ্গে দারুণ ফর্মেও আছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। পাকিস্তান সফরে তাঁর না থাকা মানে বিরাট ক্ষতি বাংলাদেশের জন্য। তবে মুশফিক বলছেন অন্য কথা। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ দলে কারো বিকল্প পেতে এক ঘণ্টাও লাগে না।
বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সামনে মুশফিক বলেন, 'আমি আগেই জানিয়েছি, এই সফরে যাব না। আমি সিদ্ধান্ত পাল্টাইনি। পাকিস্তানে যাচ্ছি না। এ নিয়ে বোর্ডের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। বোর্ডও আমার আবেদন মেনে নিয়েছে।'
কিন্তু তাঁর না যাওয়ার ঘাটতি বাংলাদেশ পোষাতে পারবে কি না জানতে চাইলে হাসির ছলে মুশফিক বলেন, ‘বাংলাদেশ দলে বিকল্প পেতে এক ঘণ্টা সময়ও লাগে না। অবশ্যই অনেকে ভালো খেলছে। বিপিএলেও অনেক ভালো খেলেছে। সবার জন্য দারুণ সুযোগ। যারাই সুযোগ পাক, তারা যেন সুযোগটা কাজে লাগাতে পারে। আমি যদি পরবর্তী সময় দলে আসি, চেষ্টা করব জায়গাটা ধরে রাখার।’
এ ছাড়া পাকিস্তান সফরের জন্য দলকে শুভ কামনা জানিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমাদের দল নতুন খেলোয়াড় খুঁজছে। আমার জায়গায় যে আসবে, তার জন্য দারুণ সুযোগ। পাকিস্তানের মতো দলের সঙ্গে তাদের মাটিতে খেলা। সবাইকে শুভ কামনা জানাই। আমি আশা করছি, অনেক ভালো ফল নিয়ে আসতে পারবে বাংলাদেশ।’
পাকিস্তানে না যেতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মুশফিক বলেন, ‘আসলে আমার পরিবার চায় না, আমি পাকিস্তানে যাই। পরিবারিক চাপ নিয়ে তো আর খেলা যায় না। আমার কাছে অবশ্যই পরিবারের সিদ্ধান্ত আগে। তাই যাওয়া হচ্ছে না।’
তবে মুশফিক বলেন, ‘না যেতে পারলেও সফরটি আমি মিস করব। কারণ আমি যত দূর জানি ওখানকার উইকেট ভালো। তবে আগামীতে কখনো সুযোগ হলে যাব।’
পাকিস্তান সফরে তিন ভাগে পূর্ণাঙ্গ সিরিজটি খেলবে বাংলাদেশ। সফরে মোট তিনটি টি-টোয়েন্টি, দুটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলবে লাল-সবুজের দল। ওয়ানডে ম্যাচটি নতুন সংযোজন। ২৪ জানুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। একই ভেন্যুতে ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বাকি দুটি ম্যাচ। সব ম্যাচের ভেন্যু লাহোরে।
টি-টোয়েন্টি খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ। এরপর আবার গিয়ে আইসিসির বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজটিও দুই ভাগে হবে।
প্রথমভাগে ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এরপর দেশে ফিরবে টাইগাররা। শেষ ভাগে এপ্রিলে একটি ওয়ানডে ও শেষ টেস্ট খেলবে সফরকারীরা।