বাংলাদেশে খেলতে ৩০ লাখ ইউরো চায় ম্যানইউ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছর পালন করা হবে মুজিববর্ষ। আগামী বছর ১৭ মার্চ থেকে পরের বছর ১৭ মার্চ পর্যন্ত নানা উৎসবে পালন করা হবে মুজিববর্ষ।
এরই অংশ হিসেবে আগামী বছর বাংলাদেশে প্রীতি ম্যাচ খেলতে আসতে পারে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (ম্যানইউ)। তবে সে জন্য ইংলিশ দলটিকে দিতে হবে ৩০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশের মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৯ কোটি টাকার মতো।
গতকাল মঙ্গলবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ঢাকায় আসেন ম্যানইউর চার প্রতিনিধি। তাঁরা হলেন ফুটবল পরিচালক অ্যালান জন ডসন, সফর ও প্রীতি ম্যাচ আয়োজক কমিটির পরিচালক ক্রিস্টোফার লরেন্স কোম্যান, দুই কর্মকর্তা ফিলিপ ম্যালকম স্মিথ ও ম্যাথু চার্লস জোনস।
ঢাকায় এসে ব্যস্ত সময় কাটালেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চার প্রতিনিধি। গতকাল দুপুর আড়াইটা নাগাদ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা। এর পর ঢাকার ভেন্যু, হোটেল, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
এদিন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ম্যানইউর প্রতিনিধিরা।
ভারতীয় এজেন্টের মাধ্যমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ঢাকায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর শোবিজ। অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বললেন, ‘নিরাপত্তা, মাঠ ও আবাসন ব্যবস্থা দেখতে তাঁরা এসেছেন। আমার মনে হয়, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না। হরহামেশাই বিদেশি ক্রিকেট দল আসে বাংলাদেশে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে আমাদের বেস্ট অব বিপিএলের একটা ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছি। আগামী জুলাইয়ে প্রাক-মৌসুমে তারা এশিয়া সফর করবে, সে অনুযায়ী দুটি দিন ফাঁকা আছে। তার একদিন ঢাকায় ম্যানইউকে ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা হচ্ছে। প্রতিপক্ষ হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দেশি-বিদেশি মিলিয়ে একটি সেরা দল। আর ম্যাচটির নাম হবে বঙ্গবন্ধু চ্যালেঞ্জ কাপ।’
বাংলাদেশে আসা নিয়ে ম্যানইউর দাবি প্রসঙ্গে স্বপন বলেন, ‘বাংলাদেশে তাদের আনতে হলে তিন মিলিয়ন (প্রায় ৩০ লাখ) ইউরো দিতে হবে। এ জন্য অবশ্যই স্পন্সর লাগবে, সঙ্গে সরকারের সহযোগিতাও লাগবে। সবার সহযোগিতা থাকলে আশা করি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আনতে পারব।’