বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই আজ
বহুল আলোচিত পাকিস্তান সফর হার দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে গতকাল শুক্রবার স্বাগতিকদের কাছে পাঁচ উইকেটে হেরেছে মাহমুদউল্লাহরা। সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে আজ শনিবার আবারও স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।
গতকাল ব্যাটসম্যানদের মন্থর ব্যাটিংয়ে খুব বড় সংগ্রহের ভিত গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। নাঈম-তামিমের ওয়ানডে মেজাজের ইনিংসে মাত্র ১৪১ রান সংগ্রহ করে লাল-সবুজের দল। এই রান নিয়ে আর কতটুকুই বা লড়াই করা যায়। তবু নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন শফিউল-আমিনুলরা। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষ ওভারে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। তাতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে জিতলেই সিরিজ জিতে নেবে দলটি। আর বাংলাদেশ জিতলে শেষ ম্যাচে হবে সিরিজজয়ী নির্ধারণ।
গতকাল অবশ্য ব্যাটসম্যানদের কারণে হেরেছে বাংলাদেশ। তামিম-নাঈমের ধীরগতির ব্যাটিং শুরুতেই চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। উইকেট না পড়লেও শুরুর দিকে তাঁদের রানের মন্থর ব্যাটিংই কাল হয়ে দাঁড়ায়। যদিও ব্যাটসম্যানদের দায় দিচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ। ম্যাচ শেষে উল্টো নাঈম-তামিমের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করলেন অধিনায়ক, ‘আমরা পাওয়ার প্লেতে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, এটা ঠিকই ছিল। তামিম আর নাঈম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। যখন বল ধীরে ধীরে পুরোনো হচ্ছিল, পিচ একটু অন্য রকম আচরণ করছিল। এটা পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য উইকেটে গিয়েই বড় শট খেলা কঠিন ছিল। আমার মনে হয়, আমরা এই জায়গায় পিছিয়ে গেছি। ১০-১৫টা রান এখানে কম হয়েছে। আমি যদি আরেকটু ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম...।’
অধিনায়কের কাঠগড়ায় ফিল্ডিং। তিনি বলেন, ‘১৪১ করেও যে আমরা শেষ ওভার পর্যন্ত যেতে পেরেছি, এটা বোলারদের চেষ্টার কারণে। বোলাররা ভালো বোলিং করলেও কিছু কিছু জায়গায়, যেমন—লেগ সাইডে কয়েকটা সহজ চার দিয়ে ফেলেছি। এখানে আমরা আরেকটু ভালো করতে পারতাম। আমাদের ফিল্ডিংটা যদি একটু ভালো হতো, হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকম হতেও পারত।’
তবে সব হতাশা পাশে সরিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। হারের চিন্তা ভুলে দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ে রাঙাতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল : মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন ও হাসান মাহমুদ।
পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দল : বাবর আজম (অধিনায়ক), আমাদ বাট, হারিস রউফ,মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক,আহসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), মুসা খান, শাদাব খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও উসমান কাদির।