পিঙ্ক বলের খুঁটিনাটি
আগামীকাল শুক্রবার থেকে ইডেন গার্ডেনসে শুরু হতে যাওয়া গোলাপি বলের টেস্ট এখন শুধুই ক্রিকেটে সীমাবদ্ধ নেই। এটি রূপ নিয়েছে বিরাট এক উৎসবে। ম্যাচটির সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উৎসবের নগরীতে রূপ নিচ্ছে কলকাতা। গোলাপি আভায় সেজেছে পুরো ইডেন গার্ডেনস। এই আভাতেই ফ্লাড লাইটের আলোয় টেস্ট ক্রিকেটের নতুন যুগে পা রাখবে বাংলাদেশ-ভারত। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে।
দিবা-রাত্রি টেস্টের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে থাকবেন পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ঐতিহাসিক এই ম্যাচটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আয়োজনে কোনো কমতি রাখছেন না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সৌরভ। ম্যাচের শুরুতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান গাইবেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা। এ ছাড়া টক শোসহ থাকবে প্রচুর আয়োজন।
ঐতিহাসিক এই ম্যাচটি মাঠে গড়ানো আগে জেনে নেই কিছু খুঁটিনাটি-
১. এত দিন টেস্ট খেলা হতো লাল বলে। টেস্ট ক্রিকেটকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আবির্ভাব হয় গোলাপি বলের। দিন-রাতের টেস্টে এই রঙের বল দেখতেও সুবিধা।
২. টেস্টে ৮০ ওভারের পর বল বদলের নিয়ম রয়েছে। সেই শর্ত পূরণ করছে গোলাপি বল।
৩. বলটি ঝকঝকে করার জন্য এতে বিশেষ ধাতুর স্তর দেওয়া হয়। বল শুকিয়ে যাওয়ার পর করা হয় পলিশ। যেটা সুইংয়ে সাহায্য করে। স্তরের জন্য এটি টেকেও বেশি সময়। পুরোনো হতে সময় নেয়। লাল বা সাদা বলের তুলনায় গোলাপি বলের স্তর মোটা। ফলে পেসারদের সুবিধা হয়।
৪. এই বল তৈরিতেও তুলনামূলক বেশি সময় লাগে। একটা গোলাপি বল বানাতে লাগে সাত-আট দিন। অন্য রংয়ের চামড়া শুকিয়ে তার উপর রং করা হয়। গোলাপি চামড়া পাওয়া যায় না বলে আলাদা করে গোলাপি রং করতে হয়। বলের চূড়ান্ত সেলাইয়ের আগে একবার এবং পর আরো একবার রং করা হয়। অতিরিক্ত রং থাকায় মাঝেমধ্যে একে কমলা রঙের দেখায়।
৫. লাল বলের তুলনায় গোলাপি বলের সিম বা সেলাই বেশি চওড়া। ফলে বাড়তি সুইং ও বাউন্স হয়। তবে এই বলে রিভার্স সুইং করা কঠিন।
৬. ইডেনে খেলা হবে এসজি গোলাপি বলে। কোকাবুরা ও ডিউক বলের তুলনায় এর সিম একটু বেশি উঠে থাকে। ফলে স্পিনাররাও ইডেনে বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন।