পাকিস্তান সফরের সম্ভাবনা ক্ষীণ
সারা বিশ্বে মহামারির আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। ১২৩টি দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে প্রায় অচলাবস্থা। একের পর এক স্থগিত হয়ে যাচ্ছে সব টুর্নামেন্ট। সেই পথ ধরে স্থগিত হতে পারে বাংলাদেশের তৃতীয় ধাপে পাকিস্তান সফর।
করোনাভাইরাসের কারণে পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে তৃতীয় ও শেষ দফার বাংলাদেশ সফর স্থগিত হতে পারে।
বাংলাদেশের তৃতীয় ও শেষ দফার সফর নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছে বিসিবি। এমনটাই বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আগামী মাসের শুরুতে নির্ধারিত সফরে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি করে ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ খেলার সূচি রয়েছে বাংলাদেশের। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।
আজ শনিবার পাপন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সফর করা খুবই কঠিন। পিসিবি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। খুব দ্রুতই কোনো সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করছি।’
পাপন আরো বলেন, ‘ইতিমধ্যে বেশ কিছু ইভেন্ট বাতিল হয়েছে। আইপিএল স্থগিত হয়েছে। যখন সবকিছুই বাতিল হচ্ছে, তখন এটি শুধু আমাদের বিষয় নয়। সবাই উদ্বিগ্ন। ঘরোয়া ক্রিকেট চলছে, তবে সেটি দর্শকশূন্য। পরিস্থিতি খুবই কঠিন। আশা করছি, সিরিজটি পরবর্তী সময়ে হবে।’
একটি ওয়ানডে ও সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের জন্য আগামী ২৯ মার্চ পাকিস্তান সফর করার কথা বাংলাদেশের। দুটি ম্যাচই হবে করাচিতে।
চার মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো পাকিস্তান সফরের জন্য পিসিবির পদক্ষেপের অপেক্ষা করছেন বলে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চোধুরী।
এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ব একাদশ ও এশিয়া একাদশের মধ্যকার দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও মেগা কনসার্ট করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত করেছে বিসিবি।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে এরই মধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটের বেশ কয়েকটি সিরিজই বাতিল হয়েছে। সিরিজ শুরুর আগেই বাতিল হয়েছে শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ডের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথম ম্যাচের পর থেমে গেছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার পর বাদ হয় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে আইপিএলের ১৩তম আসর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, করোনাভাইরাসকে মহামারি হিসেবে আখ্যায়িত করায় পাকিস্তান সুপার লিগের মাঝপথেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন প্রায় ১০ জন বিদেশি খেলোয়াড়।
নিজামউদ্দিন বলেন, ‘স্বাগতিক হিসেবে পাকিস্তানকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছি। আমরা ভাইরাস ও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে আছি। আমরা নিবিড়ভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করছি, পিসিবি দ্রুতই সিদ্ধন্ত নিতে পারবে।’
গত জানুয়ারিতে প্রথম দফার পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর ফেব্রুয়ারিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি খেলে টাইগাররা।