কিছুদিন আগেই বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন ক্রিকেটাররা। বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দাবি নিয়েই আন্দোলনে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরে অবশ্য বিসিবি ক্রিকেটারদের দাবি মেনে নেয়।

এসব ঘটনা এখন অতীত। আজ মাঠে গড়িয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। বিসিবির অর্থায়নে অনুষ্ঠিত হওয়া এবারের বিপিএলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকও কমেছে। টুর্নামেন্ট শুরুর দিনই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

এবারের আসরে খুলনা টাইগার্সকে নেতৃত্ব দেবেন মুশফিক। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের বিপিএল মিশন শুরু হচ্ছে। আজ বুধবার অনুশীলনের ফাঁকে পারিশ্রমিক নিয়ে আক্ষেপের কথা শোনালেন মুশফিক, ‘আমরা সবসময় প্রত্যাশামতো পারিশ্রমিক পাই না। এবার তো অনেক তাড়াহুড়ো করে আয়োজন হয়েছে। টুর্নামেন্টটা যে এবার হচ্ছে, সেটাই অনেক। তবুও (পারিশ্রমিক নিয়ে) আমরা নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। পরবর্তী আসর থেকে বেতন-ভাতা আমরা ঠিকঠাক পাব বলে আশা করি। আমরা সারা বছর খেলি, তারপরও দেখা যায় অনেকের চেয়ে আমরা কম পারিশ্রমিক পাচ্ছি। বিশ্বের প্রায় সব লিগে স্থানীয় খেলোয়াড়রা বেশি পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। অবশ্য আমাদের নিজেদের খেলার মানও বাড়াতে হবে। আশা করব, আমরা যেন এবার ভালো খেলা দেখাতে পারি— যাতে আমাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি পায়।’

স্থানীয় ক্রিকেটারদের আর্থিক দিকগুলোতে নজর দিলে দেশের ক্রিকেটের জন্যই ভালো হবে বলে মনে করেন খুলনা অধিনায়ক, ‘আমরা পারিশ্রমিক বাড়ানোর আশ্বাস পেয়েছি। পরের বিপিএল থেকেই হবে। বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে পার্থক্যটা যাতে কম হয়, সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। ৫০ থেকে ৬০ জন ক্রিকেটার আছেন যারা প্রতি বছর পারফর্ম করে যাচ্ছেন। তাঁদের দিকে নজর দেওয়া উচিত।’

এদিকে সব জল্পনা-কল্পনা শেষে আজ মাঠে গড়িয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছে বিসিবি। এমনকি প্রতিটি দলে একজন করে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এবারের আসরে অংশ নেওয়া সাতটি দলের মধ্যে রয়েছে ঢাকা প্লাটুন, খুলনা টাইগার্স, রাজশাহী রয়্যালস, রংপুর রেঞ্জার্স, সিলেট থান্ডার, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

৩৯ দিনের এই টুর্নামেন্টে তিনটি ভেন্যুতে হবে ম্যাচগুলো। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ক্রিকেটাররা লড়াইয়ে নামবেন।

এবারের বিপিএলে মোট ৪৬টি ম্যাচ থাকছে। ঢাকায় ২৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আর চট্টগ্রামে ১২টি ও সিলেটে হবে ছয়টি ম্যাচ।

১১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ১৮ জানুয়ারি।