‘নেতৃত্বের জন্য মুমিনুলই উপযুক্ত’
টেস্ট ক্রিকেটে মুমিনুল হকের জুড়ি নেই। দেশের হয়ে শুধুমাত্র এই ফরম্যাটে নিয়মিত মুখ তিনি। পরিসংখ্যানও সে কথা বলে। সব মিলিয়ে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার সময় মুমিনুলের ঘাড়ে টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিতে দেরি করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দায়িত্ব পাওয়ার পর শুরুটা ভালো কাটেনি মুমিনুলের। ভারত ও পাকিস্তানের কাছে টানা তিন ম্যাচে হার, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও ছিলেন মলিন। তবে ঘরের মাঠে ঠিকই নিজের ঝলক দেখিয়েছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাঁর দলও আছে ভালো অবস্থানে। তাইতো আজ সোমবার ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে মুমিনুলকে প্রশংসায় ভাসালেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান মনে করেন নেতৃত্বের জন্য মুমিনুলই উপযুক্ত।
মুশফিক বলেন, ‘মুমিনুল বাংলাদেশের সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান। আমি মনেকরি, টেস্টে নেতৃত্বের জন্য সেই উপযুক্ত ব্যক্তি। ওর ব্যক্তিত্ব বলেন, ও যত ছোটোই হোক সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। মুমিনুল কিন্তু অনেক চাপে ছিল, সেখান থেকে এসে এমন ইনিংস খেলা অসাধারণ। আমি ওর সঙ্গে সব-সময় যেকোনো ইনিংসে উপভোগ করি। আমি আগেও বলেছি তা। আমার আগের ডাবল সেঞ্চুরি ওর সঙ্গে ছিল, অনেকক্ষণ ব্যাটিং করেছি। গলে যে ডাবল সেঞ্চুরি করেছি সেটাতে ওর প্রথম হাফসেঞ্চুরি ছিল। অনেকক্ষণ ব্যাটিং করার সৌভাগ্য হয়েছে।’
মুমিনুলকে প্রশংসায় ভাসিয়ে মুশফিক আরো বলেন, ‘আমার মনে হয় সে চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ার। এই ধরণের খেলোয়াড়রা তখনই কামব্যাক করে যখন সে চাপে থাকে। ভবিষ্যতে সে আরো ভালো করবে। আমাদের যদি আরো সমর্থন পায় আরও ভালো করবে মুমিনুল।’
প্রথম সেশনে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মুমিনুল হক। টেস্ট ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তাঁর। একদিক দিয়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব অন্যদিকে ফর্মহীনতা সব মিলিয়ে হতাশায় ছিলেন তিনি। তবে নিজের ওপর আস্থা হারাননি মুমিনুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের আগে জানিয়েছিলেন, এই ম্যাচে বড় ইনিংস খেলবেন। সেই কথা রেখেছেন মুমিনুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুমিনুল। আজ সোমবার দিনের শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রিপিয়ানোকে কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান মুমিনুল। টেস্টে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের এটি নবম সেঞ্চুরি। আর অধিনায়ক হিসেবে এটি তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। ২০৮ মিনিটে ১৫৬ বলে তিন অঙ্কে স্পর্শ করেন মুমিনুল। যাতে ছিল ১২টি বাউন্ডারি।
মুমিনুলের শতরানের ইনিংস থামে লাঞ্চের পর। লাঞ্চ থেকে ফিরে ১৩২ রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। ৩২৮ মিনিট ব্যাট করে মুমিনুল খেলেছেন ২৩৪ বল। যার মধ্যে আছে ১৪টি বাউন্ডারি।